নাগরিক সেবাদানে হয়রানি দূর করতে হবে: আসিফ মাহমুদ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, নাগরিক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে জনগণ যেন কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রিতা কিংবা হয়রানির স্বীকার না হয় এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত হয়ে নাগরিকদের সেবা দিতে হবে।
রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা পরিদর্শন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন নগরবাসী। এ স্বপ্নকে সত্যি করে সুন্দর নগর উপহার দিতে এবং সরকারের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
এ সময় নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গৃহীত প্রকল্পের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইন্টিগ্রেটেড হয়ে কাজ করারও নির্দেশনা দেন আসিফ মাহমুদ।
উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় অবৈধ দখলকৃত খাল-নদী এবং ফুটপাত পুনরুদ্ধার করতে হবে। নগরবাসীর জন্য খেলার মাঠ ও পার্ক সংস্কার করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বপ্নের নগরী বিনির্মাণ করতে হবে।
বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের ডেঙ্গু ও মশক সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বছর বৃষ্টির মৌসুম দীর্ঘ হওয়ায় ডেঙ্গুর উপদ্রব এখনো দেখা যাচ্ছে। মশক দমন এবং নিধনের জন্য বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে এ সমস্যা লাঘব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়াও জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সরকারি চাঁদা বৃদ্ধি করা হয়নি এবং এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় অংশ নেওয়ার আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিচতলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফটো গ্যালারির শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।
মতবিনিময় সভার শুরুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
এতে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) ও প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন।