Logo
Logo
×

জাতীয়

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার দাবি

Icon

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ এএম

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার দাবি

নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপে (সেন্টমার্টিন) যাতায়াত ও অবস্থানের ওপর সব ধরনের সরকারি বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি প্ল্যাটফর্ম।

বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জবির রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী এএইচ ফাইম। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি প্ল্যাটফর্মের আহবায়ক জিয়ায়ুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি প্ল্যাটফর্মের যুগ্ম আহবায়ক মুহম্মদ মাহদী হাসান প্রমুখ।

এএইচ ফাইম বলেন, সেন্টমার্টিন যাতায়াতে সরকারের বিধিনিষেধ সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, দ্বীপবাসীর মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই মিয়ানমার ও আরাকান আর্মি দ্বীপটিকে একাধিকবার তাদের বলে দাবি করেছে। মিয়ানমারের সরকারি ম্যাপেও নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপকে তারা দেখিয়েছে। এখন দ্বীপে যাতায়াত ও অবস্থানে বাধা আসলে নারিকেল দ্বীপের ১০-১২ হাজার বাসিন্দার জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন শীতকালের ৪ মাসের পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জীবিকা নির্বাহের ভিন্ন উপায় না থাকায় দ্বীপবাসী তাই বেঁচে থাকার তাগিদেই দ্বীপ ত্যাগে বাধ্য হবেন। এক সময় দ্বীপটি জনশূন্য হয়ে যাবে। এতে পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের মগ, আরাকান ও ভারতীয় জেলেদের নারিকেল দ্বীপে আনাগোনা বেড়ে যাবে। সুযোগ বুঝে তারা দ্বীপটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাবে।

তিনি আরও বলেন, দ্বীপবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার যে পরিকল্পনা এর মাধ্যমে তাদের বাসস্থানের মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। দ্বীপের ২০ শয্যাবিশিষ্ট একমাত্র হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। 

সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম