‘ছাত্র প্রতিনিধি বলতে শুধু একটা নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনের নেতাদের বুঝায় না’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ এএম
ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নতুন দেশে পেয়েছি, সেখানে বৈষম্য থাকবে না ও দখলদারিত্ব চলবে না। এ আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে মানুষ জীবন দিয়েছে। জীবন বাজি রেখে ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে ছিলেন। ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহিদ হয়েছেন। কিন্তু আমরা দেখেছি প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন- সেখানে একটা নিদিষ্ট ছাত্র সংগঠনের নেতারা ছিল। এটা দুঃখজনক। আমরা চাই সকল ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে যেন প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করেন।
আবু হানিফ আরও বলেন, ‘ভারতকে বুঝতে হবে এটা আওয়ামী লীগের আমলের বাংলাদেশ না, এটা নতুন বাংলাদেশ। আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই- সেটা হবে ন্যাযতার সম্পর্ক। আমরা দেখেছি ভারতের উগ্র বিজেপির নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে হামলা করেছিল- যা ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থি। যারা এই হামলায় জড়িত তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং ভারতকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা চাইতে হবে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়েও কোনো দেশের দূতাবাসে হামলা করা হয় না। কিন্তু ভারতে এমন হামলা স্বাধীন এবং সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশের জন্য হুমকি। মমতা বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে বলে অথচ তার দেশে মানুষের নিরাপত্তা নাই। তাদের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়। তাই মমতাকে বলব- আগে নিজের ঘর ঠিক করুন। বাংলাদেশের পাশে যেমন ভারতের সীমান্ত রয়েছে তেমনি ভারতের পাশে চীন, পাকিস্তানের সীমানও রয়েছে সেটা ভারতকে অনুধাবন করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজের ছাত্রনেতা ইয়াছিন আরাফাত বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতকে নাক গলানোর অধিকার কে দিয়েছে? ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার অফিসে যেসকল উগ্রবাদীরা ভাঙচুর করছে তাদের আইনের আওতায় না নিয়ে আসলে ভারতের দূতাবার ঘেরাও করবে ছাত্র-জনতা.. ভারতের সঙ্গে এবার থেকে কথা হবে চোখে চোখ রেখে..! ভারতকে আর তিল পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে সঞ্চালনা করেন ছাত্রনেতা মাহমুদুল হাসান। সেখানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা শাকিল মিয়া, মাহমুদুল হাসান জাবের, মামুনুর রশীদ, কাউসার, রুবেল, সাইফুল, তারিকুল প্রমুখ।