ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের বিক্ষোভ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের আহ্বায়ক জনাব এ বি এম আব্দুস সাত্তার। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আব্দুল বারী, মুন্সি আলাউদ্দিন আল আজাদ, তৌহিদুর রহমান, মশিউর রহমান, মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, কাজী মোরতাজা, আব্দুল মতিন, এ কে এম এহসানুল হক ও ফোরামের অন্যান্য সদস্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কামরুজ্জামান চৌধুরী, ফজলুজ্জোহা, কাজী মেরাজ হোসেন, জাকির হোসেন কামালসহ চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সমাবেশ থেকে কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা আটটি দাবি উত্থাপন করেন। এতে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত প্রতিরক্ষা চুক্তিসহ সকল চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ এবং সকল অসম চুক্তি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান তারা।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের জন্য ভারতের প্রতি কিলোমিটার বাবদ ১.৮৫ টাকা দেওয়ার কথা, যা ইউরোপে ৩৭১ টাকা। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে প্রকৃত ফি ধার্য্য করতে হবে। ভারতীয় পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মোট ১৬টি রুট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তা বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। নেপাল ও ভুটানের সাথে ১৯৭৬ এবং ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি করে কিন্তু ভারতের বিরোধিতায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষাকল্পে নেপাল ও ভুটানের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কখনোই ১০০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি, তথাপি ১৩২০ মেগাওয়াটের জন্য বিল দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া কয়লার মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে বেশি দেওয়া হচ্ছে যা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিশন করতে হবে। বিদ্যুৎ সর্ম্পকিত বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যে সমস্ত অযৌক্তিক চুক্তি করা হয়েছে সেগুলি সব বাতিল করতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশের কোন চ্যানেল ভারতে প্রচার করতে দেওয়া হয় না, সেহেতু ভারতীয় কোন চ্যানেল বাংলাদেশে প্রচার করতে দেওয়া যাবে না। বৈধ/অবৈধ ভাবে অসংখ্য ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে চাকুরী করে। এসব চাকুরীজীবি এবং বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকরা কোন ধরনের আইন মান্য না করে, ট্যাক্স না দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে ফরেন কারেন্সি পাচার করে চলেছে। অবিলম্বে এসব নাগরিক’কে ভারতে ফেরত পাঠাতে হবে। চোরাচালানের জন্য বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ভারতে যেকোন পণ্য সরবরাহ বন্ধ করারও দাবি জানান তারা।