
উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিকিৎসাসেবাকে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে অটোমেশন পদ্ধতি নিয়ে মাইটোসিস ল্যাবের যাত্রা শুরু হলো। এখানে রোগী নিবন্ধন করলেই তার রোগ সংক্রান্ত বার্তা (ডায়াগনোসিস রিপোর্ট) কেন্দ্রীয় সার্ভারের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সব বিভাগে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব তথ্য পৌঁছে যাবে রোগীর মোবাইলে। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটির চিকিৎসক ও রোগীরা সহজেই রিপোর্ট দেখতে পাবেন।
শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে অবস্থিত ‘সাইটোসিস ল্যাব লিমিটেড’
উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান ল্যাব সংশ্লিষ্টরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন বলেন, অত্যাধুনিক স্বাস্থ্য সেবায় প্রতিশ্রুতি নিয়ে
এই ল্যাবের যাত্রা শুরু হলো। মাইটোসিস ল্যাবের অটোমেশন পদ্ধতিতে সেবা মিলবে। রোগীদের
ভোগান্তি কমাতে হেলথ আইডি সংবলিত স্বাস্থ্যসেবা কার্ড প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে রোগ
নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের দেওয়া টেস্টের তথ্য ল্যাবে পৌঁছে যাবে রোগী পৌঁছানোর আগেই।
তাই নমুনা সংগ্রহের জন্য আগেভাগেই প্রস্তুত থাকবে টেকনোলজিস্টরা। এই হেলথ কার্ড দেখালে
রোগীরা পরীক্ষা নিরীক্ষায় বিশেষ ছাড়া পাবেন। ১৪টি ডক্টরস কনসালটেন্সি চেম্বারে ৫১ জন
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোস্টার পদ্ধতিতে রোগী দেখবেন। নির্ভুল রোগ নির্ণয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ
প্যাথলোজিস্ট, টেকনেশিয়ানরা কাজ করবে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহেদী হাছান বলেন, অটোমেশন পদ্ধতির
জন্য রোগীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। একবার নিবন্ধন করলে ল্যাবের কেন্দ্রীয়
সার্ভার আজীবন তথ্য সংরক্ষণ থাকবে। এখানে সেবা নেওয়ার পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা রিপোর্ট
হারিয়ে গেলেও দুশ্চিন্তার কারণ নেই। রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সব তথ্য ল্যাবে সংরক্ষিত
থাকবে। হেলথ আইডি দিয়ে সার্চ দিলে এক মুহূর্তে আগের সব তথ্য মিলবে। চিকিৎসা ব্যবস্থা
ঢেলে সাজাতে ও আধুনিকীকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মাইটোসিস ল্যাবের ভাইস চেয়ারম্যান
ড. মাসুদ রানা, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুজ্জামান, পরিচালক প্রশাসন মুহাম্মদ
সিদ্দীকুর রহমান, পরিচালক অর্থ মো. মজিবুর রহমান মাসুদ, ডারিক্টের (ব্রান্ডিং) মো.আবু
বক্কর সিদ্দীক, ডিরেক্টর (রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. জাহাঙ্গীর আলম বাবুল প্রমুখ।