নির্বাচনে দেরি হলে অনাস্থা তৈরি হতে পারে: আনু মুহাম্মদ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দেওয়াই ভালো। দেরি হলে সরকারের প্রতি অনাস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেখান থেকে বাঁচার জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষ্যে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সরকারের ১০০ দিনের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে মতামত দেওয়া হয়। সংগঠনটির পক্ষে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন গবেষক মাহা মির্জা।
প্রস্তাবনা মূল্যায়ন করে আনু মোহাম্মদ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে প্রস্তুতি এবং রোডম্যাপ দরকার। নির্বাচনের উদ্যোগ কবে নেওয়া হবে, কবে নাগাদ নির্বাচন হবে, নির্বাচনের পথ দীর্ঘায়িত হবে কি না-এ বিষয়গুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না এলে অনাস্থা (সরকারের প্রতি) তৈরির আশঙ্কা আছে। নির্বাচনও একটা সংস্কারের মধ্য দিয়ে আসবে।
নির্বাচনব্যবস্থার মধ্যে ধস নেমেছিল উল্লেখ করে আনু মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে ২০০৮ সালের পর আর আসলে নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ সাল থেকে হাসিনা সরকার ছিল অনির্বাচিত সরকার। নির্বাচনের যে ধস নেমেছিল, সেটিকে আবার মেরামত করতে সংস্কার করতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কাঠামো তৈরি করা সরকারের দায়িত্ব এবং সে বিষয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকারি উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
জাবির সাবেক অধ্যাপক আরও বলেন, অনেকগুলো দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার আছে, যেগুলো স্থায়ী সরকার ছাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব না। ইতোমধ্যে যে কমিশনগুলো গঠন করা হয়েছে, এর মধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার অনেক ভিত্তি তৈরি করতে পারে। নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে তোলা দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সমাধান করারও আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, নারীনেত্রী সীমা দত্ত প্রমুখ।