Logo
Logo
×

জাতীয়

অর্থনৈতিক সম্মেলন

ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে এসে অপরাধে জড়িয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পিএম

ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে এসে অপরাধে জড়িয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

গত ১৫ বছরে অর্থনীতির সব খাত ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। অপরাধী বানানো হয়েছে সবাইকে। ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে এসে ব্যবসাকে রাজনীতিকরণ করে ফেলেছেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা ব্যাংক খাত থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এর বড় অংশই বিদেশে পাচার করেছে। বর্তমানে দেশের আর্থিক খাত খুবই দুর্বল। তবে শ্রীলংকার মতো বাংলাদেশের দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কা নেই। সরকার অবস্থা পরিবর্তনে কাজ করছে। এখানে কারও ব্যক্তিগত কোনো এজেন্ডা নেই। গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো টাকা ছাপায়নি। 

সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে’ বক্তারা এসব কথা বলেন।

দৈনিক পত্রিকা ‘বণিক বার্তা’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এবারের আয়োজনের বিষয় ছিল বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং এবং বিএনপি নেতা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। 

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ছাত্র-জনতা আমাদের কিছু দায়িত্ব দিয়েছে। সেটুকু যথাসম্ভব পালনের চেষ্টা করছি। আমাদের কারও কোনো ব্যক্তিগত এজেন্ডা নেই। এজেন্ডা হচ্ছে দেশের স্বার্থ। যা কিছু করা হচ্ছে তা দেশের স্বার্থেই। আমরা যা করছি সেটি ভবিষ্যতে যে কোনো সরকার এলে তারাও চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা কাজগুলোকে ৩টি ধাপে ভাগ করেছি। স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি। আমরা হয়তো মধ্যমেয়াদি কাজ শুরু করতে পারব। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কাজগুলো পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার যারা আসবেন তারা করবেন। তবে আমরা কিছু কিছু দীর্ঘমেয়াদি কাজও করার চেষ্টা করব। দেশের অর্থনীতির ভালোর জন্য যে গবেষণাগুলো হয়েছে, সেগুলো যেন আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োগ করতে পারি সে চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যাংকিং, রেভিনিউসহ বিভিন্ন রেগুলেটরি ফ্রেম ওয়ার্কের কথা বলা হচ্ছে। সেজন্য আমাদের সিদ্ধান্তগুলো খুব দ্রুত নেওয়া হচ্ছে। এর মানে আবার এমন নয় যে, টেকসই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। আমরা যা করছি, সেগুলো জনগণকে কনভিন্স করেই করা হচ্ছে।

ড. সালেহউদ্দিন আরও বলেন, বাংলাদেশে বৈষম্যের ক্ষেত্রে দুটি দিক রয়েছে। যার একটি খালি চোখে দেখা যায় না এবং আরেকটি দেখা যাচ্ছে। আবার আমরা দেখতে পাচ্ছি, আয় ও সম্পদের বৈষম্যও রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আবার আয়ের চেয়ে সম্পদের বৈষম্য বেশি প্রকট। গরিব মানুষজন সুযোগের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গ্রামের অনেক মানুষই জানেন না সরকারি সুযোগগুলো কোথায় পাওয়া যাবে। তারা সুযোগের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আবার স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রেও বৈষম্য হচ্ছে। গরিব মানুষকে শুধু ভিটামিন-এ ক্যাপসুল আর কলেরার টিকা দিলেই হয় না। তারাও মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। কিন্তু তারা জটিল রোগের চিকিৎসা কোথায় করাবে সেটি নির্দিষ্ট নয়। 

সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ১৫ বছরের বড় সমস্যা, সবাইকে অপরাধী বানানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে এসেছে। ব্যবসাকে রাজনীতিকরণ করে ফেলেছে। দুঃখজনকভাবে বলতে হচ্ছে, রাজনীতির মাধ্যমেই অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের এই অপরাধ বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য সুস্থ ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংক যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রশংসার যোগ্য। তিনি বলেন, আমার ধারণা মূল্যস্ফীতির ব্যাপারটাতেও আমাদের একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশজুড়ে ঘুরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে সংযোগ রাখতে হবে।

তার মতে, বাজারে জোগানসংক্রান্ত যে মূল্যস্ফীতি রয়েছে, তা মোকাবিলা করা সম্ভব। তিনি বলেন, আমদানি দিয়ে হোক বা স্থানীয় উৎপাদন বা বাজারের সময়কাল ইত্যাদি আরও যা যা নিয়ামক আছে এ নিয়ামকগুলোকে যদি আমরা সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারি তবে একটি পরিবর্তন দেখতে পাব। 

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাংকিং খাত। দুর্বৃত্তরা ব্যাংক থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। অবস্থা এমন যে সামষ্টিক অর্থনীতির আগে ব্যাংকিং খাত নিয়ে ভাবতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থিক খাত সবচেয়ে দুর্বল, এমনকি পাকিস্তানের চেয়েও। আর্থিক খাতের এই দুর্বলতার ছাপ দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে। তার জের টানতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যে এখন পর্যন্ত ভবিষ্যৎমুখী কিছু করা সম্ভব হয়নি। বরং অতীতের জের টানা ও সংশোধনমূলক কাজ করতে হচ্ছে আমাদের।’

গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো টাকা ছাপায়নি। আমরা টাকা না ছাপিয়েই তারল্য সংকট সমাধান করছি। কোনো কোম্পানিতে রিসিভার নিয়োগের মানে হলো নিয়ন্ত্রণে আনা, বন্ধ করা নয়। ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব বন্ধ করা হয়নি।

গভর্নর আরও বলেন, ব্যাংকের টাকা যারা দেশের বাইরে নিয়ে গেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লিগ্যাসি ম্যাটারে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গভর্নর বলেন, বাংলাদেশে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক মন্দা হবে না। কিন্তু দেশে প্রবৃদ্ধির গতি যে কমে গেছে, তা অনিবার্যই ছিল। ‘আমরা কি শ্রীলংকা হয়ে গেছি, অবশ্যই নয়। আমাদের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়নি। অর্থনীতিও ধসে পড়েনি। প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হতে পারত, কিন্তু হয়নি।’ এ বিষয়ে এক ধরনের উপলব্ধি থাকতে হবে যে, বাংলাদেশ মন্দা এড়াতে পেরেছে। সেজন্য প্রশংসাও থাকা দরকার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের চেষ্টা করছে। এ বাস্তবতায় দেশে প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমে যাবে। তিনি বলেন, স্থিতিশীলতা অর্জনে ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দফায় দফায় আলোচনা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ বদলানো হয়েছে। নতুন পর্ষদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। প্রতিদিনই বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে। একটি ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২৩ হাজার কোটি টাকা এক পরিবার নিয়ে গেলে, আমাদের কী করার থাকে। এসব ক্ষেত্রে নতুন কিছু করতে হবে। গভর্নর বলেন, ব্যাংকিং খাতে নতুন আইন করতে হবে। যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে সব ক্ষমতা চলে আসবে, আইনগতভাবেই তা হবে। ফলে ব্যাংক একীভূতকরণ, অধিগ্রহণসহ সবকিছুই করা সম্ভব হবে। 

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশে আমদানির তথ্যে স্বর্ণের পরিমাণ কম। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, খুব সামান্য পরিমাণ স্বর্ণ আমদানি হচ্ছে। অথচ জুয়েলারিতে স্বর্ণে ভরপুর। সেখানে টন টন স্বর্ণ রয়েছে। এ বিষয়ে মানুষ আমাদের প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারব না। তিনি বলেন, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেটিকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে চেষ্টা করছি। সত্য ও ন্যায়ের সঙ্গে দেশকে গড়তে পারি সেই বিষয়ে আমরা সবাই কাজ করছি। পলিসি তৈরিতে এনবিআর জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়। এ কারণে গত তিন মাসে নিত্যপণ্যের কর ও শুল্কে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোনো পলিসির কারণে এনবিআরের স্বার্থ (রাজস্ব সংগ্রহ) ক্ষুণœ হলেও রাষ্ট্রীয় স্বার্থকেই আমরা প্রাধান্য দিই। তবে দেশের মানুষের মধ্যে এখনো মিথ্যা হলফনামা তৈরির প্রবণতা রয়েছে। এটি দূর করতে হবে। 

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির দুর্বলতা কাটাতে এবং দেশের কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ সমস্যার সমাধান করতে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন। বর্তমানে দেশে বড় কোনো বিনিয়োগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তিনি বলেন, সরকারকে ৪টি খাতে গুরুত্ব দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং দৈনন্দিন জীবনে স্বস্তি। তার মতে, দেশের ৪০ শতাংশ বেকারের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সহজতা নিশ্চিত করার জন্য দ্রব্যমূল্যের দিকে নজর দিতে হবে। ড. হোসেন জিল্লুর আরও বলেন, মেগা প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু গত ১৬ বছরে যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে, তা আসলে ভ্যানিটি প্রকল্প। বাস্তবে এসব প্রকল্পের প্রয়োজন নেই। এগুলো মূলত শোভাবর্ধনকারী। অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়। তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির দুর্বলতা কাটাতে এবং দেশের কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ সমস্যার সমাধান করতে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন। তার মতে, উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার তেমন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ সময় ড. সালেহউদ্দিনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনি বলেছেন ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব নিয়েছেন। এই কথায় শুভঙ্করের ফাঁকি আছে।’ কারণ ক্ষমতায় আছেন। ফলে দায় এড়াতে পারেন না।’ 

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমার দল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হবে। কারণ এ দুই খাতে যে বিনিয়োগ হওয়া উচিত, এত বছর তা হয়নি। ফলে খাত দুটিতে বাংলাদেশের মানুষের নিজের পকেট থেকে ব্যয় আফগানিস্তানের চেয়েও বেশি। বিপুল পরিমাণ টাকা মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে। কিন্তু তা দেশের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। না হলে সাধারণ মানুষকে মূল্যস্ফীতির কারণে ক্রয়ক্ষমতার ঘাটতির মধ্যে পড়তে হবে। বাজেটে সরকারের বরাদ্দ ভুল হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী, ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন, এমসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম