নির্মাণ বিধিমালা সংশোধনে রিহ্যাবের আলটিমেটাম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন না করলে কঠোর আন্দোলন শুরু করবে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। একই সঙ্গে এখন থেকে রিহ্যাব সদস্যরা বিদ্যমান বিধিমালা ২০০৮ এবং বিএনবিসি ২০২০ অনুসারে ভবন নির্মাণ করবেন। সোমবার রিহ্যাবের বোর্ড সভায় এ সদ্ধিান্ত গৃহীত হয়। সভায় রিহ্যাব নেতারা ড্যাপ ও বিধিমালা সংশোধনে সময়ক্ষেপণ করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রিহ্যাব নেতারা বলেন, বিধিমালা সংশোধনে রাজউকের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন অংশীজনকে নিয়ে একাধিক সভা হয়। রাজউক চেয়ারম্যান ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রিহ্যাবের কাছে প্রস্তাবনা চান। রিহ্যাবের পক্ষ থেকে সাত দিনের মধ্যে বিধিমালা সংশোধনের বিস্তারিত প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। রিহ্যাব তার কথা রাখলেও বিভিন্ন সময় রাজউক বিধিমালা সংশোধনে একাধিকবার আশ্বাস দেন কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ফলে পুরো আবাসন খাতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বৈষম্যমূলক নতুন নিয়মে জমির মালিকরা জমি ডেভেলপ করার জন্য কোনো জমি দিতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে ফ্ল্যাটের শূন্যতা তৈরি হচ্ছে এবং দ্রুত ফ্ল্যাটের দাম বাড়ছে। সব ধরনের নাগরিকদের মাথা গোঁজার স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে।
সভায় রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন না হওয়ায় জমির মালিক, ডেভেলপারসহ সব ধরনের নাগরিকদের মাঝে চরম অসনে্তাষ বিরাজ করছে। বাংলাদেশে জমির তুলনায় জনসংখ্যার আধিক্য বেশি। বাস্তবতার নিরিখে সদ্ধিান্ত গ্রহণ না করলে আগামীতে ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে। প্রতিবছর কৃষিজমি শেষ হচ্ছে নতুন বাড়ি তৈরিতে। আমাদের অবশ্যই ভবন ওপরের দিকে তুলতে হবে।
রিহ্যাবের পরিচালকরা বলেন, নির্মাণ খাতের সঙ্গে অর্থনীতির বড় ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের ওপর লিংকেজ শিল্প নির্ভরশীল। বর্তমানে লিংকেজ শিল্পগুলো ধুঁকছে আমাদের আবাসনশিল্পে স্থবিরতা বিরাজ করায়। ১৫ শতাংশ অবদান রাখা এই খাতের জিডিপি আগামীতে কমে আসবে। সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সভায় রিহ্যাব নেতারা আরও বলেন, আমরা একাধিকবার গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে সভা করেছি। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। ১৫ দিনের মধ্যে নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন না করলে সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন শুরু ছাড়া আর কোনো পথ আমাদের খোলা নেই। সরকারকে অবশ্যই দ্রুত সময়ের মধ্যে সদ্ধিান্ত গ্রহণ করতে হবে। সভায় রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।