পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুলের শুনানি
এমন রায় দেব যা ৫০ বছর পরও মানুষ মনে করবে: হাইকোর্ট
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুলের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, এটি অনেক বড় মামলা। আমরা এই মামলায় এমন রায় দিতে চাই, কেউ যেন বলতে না পারে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি। যেটাকে ন্যায়বিচার বলে রায়ের মাধ্যমে সেটাই প্রতিষ্ঠা করব। ৫০ বছর পরও মানুষ রায়ের কথা মনে করবে। তখন তারা দেখবে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ভূমিকা কেমন ছিল।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদ উদ্দিন আদালতে বলেন, ‘দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, রাষ্ট্রের কল্যাণ হয়, এমন বক্তব্যই আদালতে তুলে ধরবে রাষ্ট্রপক্ষ।’ এরপর আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য রোববার (১০ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন।
আদালতে শুনানিতে রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল।
জামায়াতের পক্ষে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে রয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
আর রাষ্ট্রপক্ষে আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদ উদ্দিন।
এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুলের দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘এই মামলাটি কোনো পক্ষের নয়, এটি এখন পুরো বাংলাদেশের মানুষের মামলা।’
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। শুনানিতে তিনি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীকে একটি ‘মোটিভেটেড অ্যামেন্ডমেন্ট’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে না হয়, বারবার যাতে একই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে সে উদ্দেশ্যেই মূলত পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়।’
২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বিদ্যমান ৪৫-এর স্থলে ৫০ করা হয় এ সংশোধনীর মাধ্যমে।