Logo
Logo
×

জাতীয়

‌‘বাংলাদেশ ও আদানির চুক্তির বিষয়ে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই’

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ এএম

‌‘বাংলাদেশ ও আদানির চুক্তির বিষয়ে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল

বাংলাদেশ সরকার ও আদানি পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যকার ইস্যুতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। 

শনিবার (২ নভেম্বর) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে তিনি এই কথা বলেন।

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এটি একটি বেসরকারি সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার চুক্তি। বিষয়টি দুই পক্ষের চুক্তির শর্তের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। সুতরাং এ বিষয়ে জানানোর জন্য এখন আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

সম্প্রতি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে ভারতের আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড। পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির তথ্যে দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আদানি প্ল্যান্ট অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে একটি ইউনিট থেকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যা জাতীয় উৎপাদনকে প্রভাবিত করেছে।

সময় মতো বকেয়া বিল না পেয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে তারা বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) ‘পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট’ অনুযায়ী, অক্টোবরের ৩১ তারিখের মধ্যে টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। সে বিষয়ে আগাম সতর্ক করেছিলেন গৌতম আদানি।

সতর্কতা হিসেবে ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু সময়ের মধ্যে বিল না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৩১ তারিখ থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়। হিসাব বলছে, এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ৮৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আদানির সংস্থা জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ১৭০.০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লেটার অব ক্রেডিট দেয়নি। ৮৪৬ কোটি টাকার বকেয়াও ক্লিয়ার করেনি। আদানি গোষ্ঠীর তরফে এও বলা হয়েছে, বকেয়া না মেটালে সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আদানির সংস্থা। তবে জুলাই থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা উত্তোলনের জেরে দাম বৃদ্ধি হয়েছে। সপ্তাহে ১৮ মিলিয়ন ডলারের বদলে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২২ মিলিয়ন ডলার। সে সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারও অবগত।

যদিও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের তরফে দাবি করা হয়েছে, আগের বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হলেও গত জুলাই মাস থেকে আদানি গোষ্ঠী বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সংস্থার তরফে প্রতি সপ্তাহেই অতিরিক্ত ২২ মিলিয়ন ডলার চার্জ করা হচ্ছে। যার কারণে এই বিপুল অর্থ বকেয়া রয়ে গেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম