সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৬ নির্দেশনা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৯ পিএম
সড়কে গতি আনার পাশাপাশি মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ঢাকা রংপুর রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পরিদর্শন শেষে পাওয়া ত্রুটি এবং সমাধান তুলে ধরেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ছয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে জাতীয় সড়ক এবং মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় সিনিয়র সচিব মহোদয় কর্তৃক সড়ক/মহাসড়কে নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি ও সমাধান পরিলক্ষিত হয়েছে।
সিনিয়র সচিবের পাওয়া ত্রুটিগুলো হল-
১. মহাসড়কে অযান্ত্রিক ও ধীরগতির যান চলাচলের কারণে দূরপাল্লার নিরবচ্ছিন্ন যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং দুর্ঘটনার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে;
২. জাতীয় মহাসড়ক এবং মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত হাট বাজার এবং অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে মূল্যবান জ্বালানি অপচয়, যাত্রীদের গন্তব্য পৌঁছাতে অহেতুক বিলম্ব, জরুরি পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ জরুরি স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে;
৩. নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের অভাবে বর্ষা মৌসুমসহ দুর্যোগকালীন নিরাপদ ও সুষ্ঠু যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে;
৪. পর্যাপ্ত ট্রাফিক আইন, সাইন পোস্ট, সড়ক মার্কিং, সড়ক বাতি, সড়ক নিরাপত্তা বেষ্টনী ও সকল স্থানে কিলোমিটার পোস্ট না থাকার কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটছে;
সড়ক ও মহাসড়কে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ যান চলাচল নিশ্চিত করতে সিনিয়র সচিবের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শগুলো-
১. প্রতিটি থানার অধিক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক ও মহাসড়কে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ যান চলাচল নিশ্চিত করতে রোস্টার ডিউটির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক ৬ জন পুলিশ/আনসার নিয়োগ;
২. অপরিকল্পিত ও অবৈধ বাণিজ্যিক/আবাসিক স্থাপনা অপসারণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা;
৩. মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যে স্থাপিত সকল ধরনের হাটবাজার অপসারণপূর্বক জনসাধারণের সুবিধার্থে আলাদা স্থানে হাটবাজার স্থাপনের ব্যবস্থা করা;
৪. জাতীয় সড়ক ও মহাসড়কে সকল ধরনের অযান্ত্রিক ও ধীরগতির যান চলাচল বন্ধ করতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া;
৫. প্রতিটি যানবাহনে রাত্রিকালীন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সতর্কতামূলক ট্রাফিক ইনডিকেটর রয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করা এবং যানবাহনে কোনো নিষিদ্ধ লাইট সংযোজিত থাকলে সড়ক নিরাপত্তার স্বার্থে তা অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া;
৬. সড়ক ও মহাসড়কে প্রয়োজনীয় ট্রাফিক সাইন, সাইন পোস্ট, সড়ক মার্কিং, সড়ক বাতি, সড়ক নিরাপত্তা বেষ্টনী স্থাপন নিশ্চিত করা।
এ অবস্থায় জনগণের ভোগান্তি লাঘব, গতিশীল যান চলাচল এবং মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওইসব পর্যবেক্ষণের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন উপসচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান।