বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগের বিচার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। বিচার শুরুর প্রথম দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে তাকে গ্রেফতারের আবেদন করে প্রসিকিউশন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত বাকিদের বিরুদ্ধে শুনানি চলছে।
ট্রাইব্যুনালের সূচনা বক্তব্যে বিডিআর বিদ্রোহে ৭৪ জনকে হত্যা, শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যা, র্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যা, জুলাই-আগস্ট গণহত্যাসহ আওয়ামী শাসনামলে মানবতা বিরোধী অপরাধের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) নিয়োগের পর প্রথম কর্মদিবসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী এদিন ট্রাইব্যুনালে আসেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও অন্য কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
উল্লেখ্য, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়।