বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মিকে গ্রেফতার করে শাস্তি দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেওয়ার কারণে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। তবে শুধু বরখাস্ত নয়, তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
ফেসবুকে সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের নিয়ে ঊর্মির দেওয়া পোস্টের জেরে গত দুদিন ধরে নানা সমালোচনা চলছে। এরমধ্যেই গতকাল রোববার তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার বিকালে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্তের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ঊর্মিকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়ে নানা মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। তারা বলছেন, ঊ র্মি স্বৈরাচারের দোসর, শুধু বরখাস্ত না, তাকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আল আমিন খান নামে একজন লিখেছেন, সরকারি বড় কোনো দায়িত্বে থাকলে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করা যায় না, তখন জনগণের মতো নিজেকে ভাবা যায় না। এগুলো বুঝতে হয়, এটারও একটা সরকারি নিয়ম আছে, তার তো জানার কথা। আমার মনে হয় কোনো দালালি/পা চেটে চাকরি নিয়েছিল।
আব্দুল ওয়াহেদ বলেছেন, এই নারীর (ঊর্মি) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা উচিত। এরাই দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এরা খুনির সহচর।
আবু নাসির সিদ্দিকী বলেছেন, শুধু বরখাস্ত না, তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।
এমএন খালেদ নামে একজন লিখেছেন, গণহত্যাকারী স্বৈরাচারের পক্ষে এমন দাম্ভিকতা প্রদর্শনের দুঃসাহস যারা দেখাবেন তাদের প্রতি সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রদর্শন করতে হবে।
ঊর্মিকে যোগ্য স্বৈরাচারের যোগ্য দোসর মন্তব্য করে লোকমান হোসেন বলেন, প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বস্তরে এরকম দলকানা স্বৈরাচার দোসর ঘাঁপটি মেরে বসে আছে, এসব জঞ্জাল সমূলে উৎপাটন না করলে দেশটার আমূল সংস্কার সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, শনিবার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
পরে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে ঊর্মি গণমাধ্যমকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে তার এই প্রতিক্রিয়া।