আমাদের সুপরিকল্পিত জাতীয় শিক্ষানীতি থাকা দরকার: শিক্ষা উপদেষ্টা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫১ এএম
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, আমাদের একটি সুপরিকল্পিত জাতীয় শিক্ষানীতি থাকা দরকার। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়নি। এ কারণে দেশে শিক্ষিত বেকার চরম আকার ধারণ করেছে।
শনিবার বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান ড. সুসান ভাইজ।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্ম ছাত্র রাজনীতির নামে চরম অপরাজনীতি, দুর্বৃত্তায়ন এবং দখলদারিত্বের সঙ্গে যুক্ত। যে কোনো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য কিছু আচরণবিধি থাকে। বাংলাদেশেও তেমন আচরণবিধি থাকা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় তাদের জ্ঞান ও বিবেচনা দিয়ে নিজস্ব আচরণবিধি তৈরি করতে পারে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষকদের বেতন কাঠামো অনেক নিচের দিকে। আমরা শিক্ষকদের দাবি পূরণের চেষ্টা করব। কিন্তু দায়িত্বের জায়গা থেকে তাদেরও জবাবদিহিতা এবং নজরদারি থাকতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিদিন অন্তত চার-পাঁচটা বড় বড় দাবি আমার কাছে আসে। কিন্তু আমি বিরক্ত হই না। আমি নিজেকে অপরাধী মনে করি। তাৎক্ষণিক সমাধান দিতে পারি না বলে, নিজের কাছে নিজে ছোট হয়ে যাই। এদেশের পুরো শিক্ষকতা পেশা, বিশেষভাবে উল্লেখ করব বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা অন্য সমতুল্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত এবং উপেক্ষিত। স্বল্প আয় দিয়ে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাই তাদের পক্ষে দুঃসাধ্য। শিক্ষকতায় মনোযোগ দেবেন কী করে।
১২ গুণী শিক্ষককে সংবর্ধনা: বিশ্ব শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠানে ১২ জন গুণী শিক্ষককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারা হলেন ভৈরবের বাঁশগাড়ী ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রায়হানা হক, সিলেট বিয়ানীবাজার জান্নাতুল উম্মাহ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান, বরিশালের ব্রজমোহন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোমিন হাওলাদার, ঢাকা বাড্ডা হাজী মাতবর আলী হাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া, নারায়ণগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. মাহবুব হায়দার, রাজশাহী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. আবু সাইদ মো. নুরুল ইসলাম, ঢাকা মোহাম্মদাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রফিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এএ মামুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফজলের রাব্বি চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রহমান ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এহসানুল কবীর।