ডিসি নিয়োগকাণ্ড: অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৯ পিএম
সত্যতা যাচাই করে সংবাদ পরিবেশন করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার রাতে অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কোনো নির্দোষ কর্মকর্তা যাতে কোনো প্রচারমাধ্যম দ্বারা তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের শিকার না হন এবং বিনা অপরাধে প্রশাসন সার্ভিসের সিনিয়র কর্মকর্তার চরিত্র হনন করা না হয় সেজন্য সত্যতা যাচাই করে সংবাদ পরিবেশন এর আহ্বান করছি।
সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক নিয়োগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে পদায়নসহ অন্যান্য পদে পদায়ন নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কিত সংবাদ ও তথ্য বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে যা বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএসএ) এর নজরে ও পর্যবেক্ষণে এসেছে। এ ধরনের সংবাদ প্রচারের পূর্বে সব ধরনের তথ্য সার্বিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে কিংবা ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধান না করেই কোনো কোনো মিডিয়ায় কখনো কখনো অতি উৎসাহিত হয়ে অতিরঞ্জিত সংবাদ ও তথ্য পরিবেশন করে প্রশাসন ক্যাডারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকরণসহ ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আন্দোলনের ফসল তথা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর কার্যক্রমকে বিতর্কিত করার প্রয়াসে লিপ্ত হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে। দুর্নীতির সংবাদ সাক্ষ্য প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত নয় এরূপ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে মোবাইলের স্ক্রিনশট বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অডিও রেকর্ড ব্যবহার করা হচ্ছে যা বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কৃত্রিমভাবেও প্রস্তুত করা সম্ভব। ফলে সব মিডিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন স্মরণ করিয়ে দিতে চায় যে, স্বৈরাচার সরকারের দোসররা এখনো সক্রিয় থেকে গোপনে নানা অপকৌশলে তথ্য বিভ্রাট ঘটিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিধায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে 'দৈনিক কালবেলা' পত্রিকায় প্রকাশিত ‘আমার টাকা পয়সার প্রতি লোভ নেই, ৫ কোটি হলেই চলবে’ শীর্ষক পরিবেশিত সংবাদ এবং ‘ডিসি নিয়োগে লেনদেন ও প্রতিবেশী দেশের সম্পৃক্ততার কথোপকথন ফাঁস’ শীর্ষক শিরোনামে ‘দৈনিক নয়া দিগন্ত’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনায় এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় পরিবেশিত সংবাদ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বস্তুনিষ্ঠ নয়। এ ধরনের অবাস্তব ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা হয়নি বরং সিভিল প্রশাসন ও প্রশাসন ক্যাডারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।