আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে। বুধবার সামুদ্রিক আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেনের সই করা ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে দুপুরের মধ্যে দেশের ১৩ জেলায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, এ সময়ের মধ্যে যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে দেশের ৩ বিভাগের কোথাও কোথাও আজ ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও বুধবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারি (>৮৯ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে ভারি বর্ষণজনিত কারণে এই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।