যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশ: ড্রেজার ক্রয়ের সেই টেন্ডার বাতিল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
চারটি কাটার সাকশন ড্রেজার, ক্রেনবোট ও আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার দুটি পৃথক দরপত্র অবশেষে বাতিল করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
রোববার সংস্থাটির ‘৩৫টি ড্রেজার ও সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক মো. মজুন মিয়া সই করা এক নোটিশে ওই টেন্ডার দুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। টেন্ডার বাতিলের জন্য ‘অনিবার্য কারণ’ উল্লেখ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
সূত্র জানিয়েছে, টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক এড়াতে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশনা অনুযায়ি ওই টেন্ডার দুটি বাতিল করা হয়েছে। যদিও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ দর যাচাইসহ নানা কারণ দেখিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে আসছিল।
গত ২৮ আগস্ট দৈনিক যুগান্তর এ ‘বিআইডব্লিউটিএ’র কাণ্ড: নিষেধাজ্ঞার পরও ২৯০ কোটি টাকা ড্রেজার ক্রয় টেন্ডার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, আর্থিক সংকটের কারণে জলযান ক্রয়ের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে ২৯০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের চারটি কাটার সাকশন ড্রেজার, চারটি ক্রেনবোট ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার দরপত্র আহ্বানের প্রস্তাব করা হয়েছে। টেন্ডার আহ্বানের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এছাড়া টেন্ডারে ‘বিশেষ’ শর্তও যুক্ত করা হয়েছে। ওই শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের দুএকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কেউ কাজ পাওয়ার যোগ্য হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, নৌপরিবহণ খাতের প্রভাবশালী একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতেই এ টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।
ওই সংবাদ প্রকাশের পর বিআইডব্লিউটিএ দাবি করে, ড্রেজার জলযানের আওতাভুক্ত নয়। ড্রেজার ক্রয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা নেই। যদিও এর স্বপক্ষে সংস্থাটির কর্মকর্তারা কোনো অনুমোদন দেখাতে পারেননি।