Logo
Logo
×

জাতীয়

চট্টগ্রামের এমপি মিতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ পিএম

চট্টগ্রামের এমপি মিতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

অপর দু’জন হলেন কুমিল্লা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিমুল আলম চৌধুরী ও যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র জহুরুল ইসলাম চাকলাদার ওরফে রেন্টু চাকলাদার। 

দুদকের গোয়েন্দা শাখার গোপন অনুসন্ধানে এদের অবৈধ সম্পদের তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আখতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এলাকার আলোচিত সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান করে দুদক। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তখন তার অভিযোগ পরিসমাপ্তি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নড়েচড়ে বসে দুদক। 

একের পর এক সংস্থাটি সাবেক মন্ত্রী, এমপিদের দুর্নীতির প্রকাশ্যে অনুসন্ধানে টিম গঠন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার কমিশন থেকে মিতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ-সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দুর্নীতিতে বেপরোয়া ছিলেন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল ৪৭ লাখ ৫ হাজার ৮০৫ টাকা। উক্ত আয় ১০ বছরে বেড়ে দাড়িয়েছে ৯৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮২৪ টাকা। যা ২০১৪ সালের বার্ষিক আয়ের তুলনায় ১০১ দশমিক ২ পার্সেন্ট বেশি। আর অস্থাবর সম্পদ ২০১৪ সালের তুলনায় ১৯৯ দশমিক ২৩ পার্সেন্ট বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

তার স্ত্রী মাহমুদা মাহফুজের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা। যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাড়িয়েছে ২০ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৮ টাকা। অর্থ্যাৎ তার আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯০ দশমিক ১১ পার্সেন্ট। আর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২৯ দশমিক ৫ পার্সেন্ট। তাদের নামে পূর্বাচলে প্লট, মতিঝিলে ৫ কাঠায় জায়গার উপর ভবন, দিয়া বাড়িতে ৫ কাঠার প্লটসহ বিপুল সম্পদ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তিনি অর্থ পাচার করেছেন বলেও তথ্য পেয়েছে দুদক। 

কুমিল্লা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিমুল আলম চৌধুরী (নজরুল) তার নিজ নামে জিও টেক্সটাইল লি. কোম্পানিতে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ঢাকার বনানী ডিওএইচএস ও নিকুঞ্জতে তার দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, কুমিল্লার বড়ুরা বাজারে ১৭টি দোকান, দুইটি বহুতল বাড়িসহ নামে বেনামে বিপুল সম্পদ রয়েছে।

অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র রেন্টু চাকলাদারের বিরুদ্ধে। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে তার বা পৈত্রিক বলার মতো তেমন সম্পদ ছিল না। ২০১৬ সালে পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তিনি ২০১৮ সালে শহরে একযোগে ৭২টি সড়ক নির্মাণ বাতি স্থাপনের কাজে নজিরবিহীন দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ লোপাট করেছেন। 

অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি শহরের আরবপুর এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘা জমির উপর বিশাল বাগান বাড়ি, রূপদিয়া এলাকায় ২০ বিঘা জমির উপর ফিড মিল, শহরের কাজীপাড়ায় নজরকারা অট্টালিকা তৈরি করেছেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম