Logo
Logo
×

জাতীয়

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের দাবি 

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের দাবি 

সংবিধান পুনর্লিখনে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনা প্রতিপালন করতে হবে। পাশাপাশি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন করতে হবে। 

রোববার রাজধানীর জাতীয় অফিস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিশিষ্ট নাগরিক ‘পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনসমাজ’ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সংগঠনের সমন্বয়ক আবুল হাসিব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সমন্বয়ক বিশিষ্ট চিকিৎসক ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নাটাবের সভাপতি প্রফেসর ডা. এফ তাহা, ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর অর্থনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আরিফুর রহমান। 

নবগঠিত সংগঠনটির পক্ষ থেকে লিখিত সুপারিশ তুলে ধরে ড. আরিফুর রহমা বলেন, ‌‌‘জনসমাজ’ ছাত্রজনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুথানকে স্বাগত এবং নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ উইনুসের সরকারকে সমর্থন ও অভিনন্দন জানায়।

প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাব ও সুপারিশসমূহের অন্যতম হলঃ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট্য সংসদ গঠন, নিম্নকক্ষের মেয়াদ যখন শেষ হয়ে যায় অথবা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ভেঙ্গে দেয়া হয়, তখন উচ্চকক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা। 

জনসমাজ মনে করে, সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তন বা পুনর্লিখনের ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং ২০২৪- এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের চেতনার প্রতিফলন প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণায় যে 'সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের' কথা বলা হয়েছে, তা মূল ভিত্তি হতে পারে। ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত নয়, ক্ষমতার ভারসাম্য সংবিধানে ধারণ করা বাঞ্চনীয়। জনসমাজের অন্যতম প্রস্তাব হলো, কোন ব্যক্তি দুই মেয়াদ বা সর্বোচ্চ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকা। 

'জনসমাজ' শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজনীতি, অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, পুলিশ-সহ রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ব্যাপক সংস্কার। পররাষ্ট্রনীতিতে সম্প্রীতি, আস্থা ও ভারসাম্য বজায় রাখা। বাংলাদেশ দক্ষিন এশিয়ার গেইটওয়ে এবং ভূরাজনীতিতে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সৌদি আরব-কেন্দ্রীক মধ্যপ্রাচ্যের সাথে ভারসাম্য ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়মিত সংযোগ বজায় রাখা। সংস্কার-কর্মসূচির বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে পর্যাপ্ত এবং যুক্তিসংগত সময় প্রদান করা। 

এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সংস্কার যত সহজ হবে, দলীয় সরকারের পক্ষে তত সহজ হবেনা। সংস্কার সম্পন্ন না করে তাড়াহুড়া করে নির্বাচন করলে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং জনগণের স্বপ্নপূরণ বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে, ফ্যাসিবাদী প্রবণতা, দুর্নীতি, অবিচার ও অব্যবস্থা, নির্যাতন-নিপীড়ন আবার ফিরে আসতে পারে, যা কাম্য নয়।

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা হলো- গ্রহণযোগ্য, অর্থবহ নির্বাচনের মাধ্যমে উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের কল্যাণময় বা সামাজিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তারা।

আরও উপস্থিত ছিলেন, বিসিএস (প্রশাসন)- এর সিনিয়র কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মো. আব্দুল্লাহ, তিতুমীর কলেজ ছাত্র-সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম