Logo
Logo
×

জাতীয়

অ্যাডহক নিয়োগ ও এনক্যাডারমেন্ট বাতিল চান স্বাস্থ্য ক্যাডাররা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ এএম

অ্যাডহক নিয়োগ ও এনক্যাডারমেন্ট বাতিল চান স্বাস্থ্য ক্যাডাররা

সরকারি চাকরিবিধির লঙ্ঘন করে ক্যাডার পদগুলোতে ভিন্ন নিয়োগবিধির আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডহক, এনক্যাডারমেন্ট ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পদায়ন ও পদোন্নতি বাতিল চেয়েছেন স্বাস্থ্য ক্যাডাররা। এ জন্য পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন তারা। 

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত চিকিৎসকরা।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন (২৪তম বিসিএস) ও সদস্যসচিব ডা. উম্মে তানিয়া নাসরিন (২৮তম বিসিএস) এবং অ্যাসোসিয়েশনের মহাখালী ইউনিটের আহ্বায়ক ডা. আসিফ মাহমুদ ভাস্কর (২৮তম বিসিএস) ও সদস্য সচিব ডা. তৌফিক আহমেদ(৩৩ তম বিসিএস)।

এসময় জানানো হয় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে (২০১০-২০১১ সাল) চুক্তিভিত্তিক অ্যাডহক (অস্থায়ী) ও বিভিন্ন সময়ে চুক্তিভিত্তিক (প্রকল্প) দুই হাজার ৩৪৬ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিদ্যমান সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গ করে অবৈধভাবে এনক্যাডারমেন্টকরণ ও বিধিবহির্ভূত পদোন্নতি দেওয়া শুরু করেছে। 

এসব কাজে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু দুষ্কৃতকারী কর্মকর্তা জড়িত। এখন পর্যন্ত ভুয়া পদোন্নতি, জনপ্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় পাঁচ শতাধিক ভুয়া পদায়ন, ক্যাডার কর্মকর্তাকে অ্যাডহকদের অধীন করা হয়েছে। এসব অবৈধ পদোন্নতি ও পদায়নের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে ২০২২ সালে মামলা করা হয়েছে। মামলায় রুল জারি করা থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অনিয়মকারী শাখার কর্মকর্তারা অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পক্ষে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত পদোন্নতি আদেশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদায়ন শাখা পুনরায় অবৈধ পদায়ন আদেশ জারি করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যারা তাদের চাকরিজীবনে কখনো কোনো পরীক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেননি, যারা বিসিএসে অকৃতকার্য হয়েও এনক্যাডার হয়েছেন, এমনকি এনক্যাডারের পরে পুনরায় বিসিএস ক্যাডারের পাঁচটি শর্ত থেকে মাফ পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিসিএস পাস কর্মকর্তাদের চেয়ে ওপরে স্থান পেয়েছেন। এসব কারণে ৩৫ হাজার ক্যাডার কর্মকর্তা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ ও ক্ষুব্ধ। আমরা উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সরকারি কর্ম কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব অনিয়মগুলো লিপিবদ্ধ করে জমা দিয়েছি। ক্যাডারকে অ্যাডহক (নব এনক্যাডার) কর্মকর্তাদের অধীন করার রেওয়াজ কোনো আইন ও বিধিতেই সমর্থন করে না, শতভাগ অবৈধ।

এ সময় পাঁচটি দাবি তুলে ধরে জানানো হয়, সবধরনের অবৈধভাবে স্থায়ীকরণ বাতিল করতে হবে। পদোন্নতি বাতিল করতে হবে। সব অবৈধ পদায়ন বাতিল করতে হবে। চলমান প্রমার্জনার সব প্রক্রিয়া স্থায়ী আদেশভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে। এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম