Logo
Logo
×

জাতীয়

ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকা আসছেন ‘বন্ধু’ সিনেটর ডিক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম

ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকা আসছেন ‘বন্ধু’ সিনেটর ডিক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকা আসছেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু মার্কিন সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটির প্রধান রিচার্ড জোসেফ ডারবিন। ডিক ডারবিন নামে খ্যাত ইলিনয় রাজ্যের সিনিয়র মোস্ট ওই সিনেটর গত ২২ বছর ধরে বিচারিক কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। 

অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে এটিই হবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রথম সফর। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬শে আগস্ট ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি। ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ মিশন থেকে সিনেটর টিমের ভিসা লজিস্টিকসহ সব কিছুই করা হয়েছে। সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার মতবিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে। ৭৯ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মার্কিন ওই আইনজ্ঞ ড. ইউনূসের সুখ-দুঃখের সঙ্গে রয়েছেন যুগ যুগ ধরে। 

সূত্র মতে, ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক কংগ্রেসনাল মেডেল প্রদানের উদ্যোক্তা ছিলেন সিনেটর ডিক ডারবিন। তাছাড়া ড. ইউনূসকে শেখ হাসিনা  সরকারের বিচারিক হয়রানির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার কণ্ঠ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক বিবৃতি প্রদান ছাড়াও বাংলাদেশ দূতকে ডেকে তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।

নোবেল প্রাইজের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘প্রেসিডেন্সিয়াল’ ও ‘কংগ্রেসনাল’ মেডেল পাওয়া বিশ্বের ১০-১২ জন বিরল ব্যক্তিত্বের অনন্য ড. ইউনূসকে বিচারিক হয়রানি কেন অগ্রহণযোগ্য- সেটি নানাভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ডিক ডারবিন। ইলিনয় রাজ্যের সিনিয়র মোস্ট ওই সিনেটর স্পিংফিল্ড এলাকা থেকে টানা ৫ টার্মে নির্বাচিত। ১৯৯৬ সালের ৫ই নভেম্বর প্রথম সিনেট সদস্য হন ডেমোক্রেট দলীয় ওই রাজনীতিবিদ। পরবর্তীতে ২০০২, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০২০ সালেও জয় পান। ডিক ডারবিন আমেরিকান সংবিধান উপ-কমিটি, নাগরিক অধিকার ও বৈশ্বিক মানবাধিকার বিষয়ক সাব-কমিটি, ক্রাইম, সংশোধন ও পুনর্বাসন উপ-কমিটির বিভিন্ন পদে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। 

তিনি মানবাধিকার ও আইন উপ-কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৪৪ সালের ২১শে নভেম্বর ইলিনয় রাজ্যের সেন্ট লুইসে জন্ম নেওয়া ডারবিন সিনেটে মেজরিটি হুইপের দায়িত্ব পালন করছেন। ডেমোক্রেটিক লিডারশিপে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ। পেশায় আইনজীবী ডারবিন কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন সুপ্রিম কোর্টের মনোনয়ন চূড়ান্তকরণে দীর্ঘ শুনানিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমেরিকায় অভিবাসন সংস্কারের ‘চ্যাম্পিয়ন’ ওই রাজনীতিবিদ দেশটির ড্রিম ল’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক। আমেরিকায় বেড়ে ওঠা তরুণ অভিবাসীদের নাগরিকত্বের পথ সুগম করতে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম