এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহারের অধিকার কারও নেই

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২৬ এএম

ছবি: সংগৃহীত
এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কোনো স্বাস্থ্য কর্মীর সাদা অ্যাপ্রোন পরা ও নামের আগে ডাক্তার পদবি লেখার অধিকার নেই বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, গত ২০ আগস্ট বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে ম্যাটস, ডিএমএফ ও টুএমপি পাশ করা এবং মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাক্টিশনার হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বুধবার দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সাধারণ চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থী সমাজের ব্যানারে আয়োজিত ‘লংমার্চ টু বিএমডিসি’ শীর্ষক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তারা এ কথা বলেন।
কর্মসূচিতে চিকিৎসকরা বলেন, নিজেদের অস্তিত্ব ও অধিকারের লড়াই হিসাবে আমাদের এই কর্মসূচি। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, চিকিৎসক ছাড়া অন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের সাদা অ্যাপ্রোন পরা ও নামের আগে ডাক্তার পদবি লেখার কোনো অধিকার নেই।
তারা বলেন, ‘চিকিৎসক শুধু পরিচয় দেওয়ার বিষয় না, এটা যোগ্যতার বিষয়। যাদের এ যোগ্যতা নেই তারা চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিতেই পারে না। টেকনোলজিস্টরা সহায়ক। তারা কোনোভাবেই চিকিৎসক নন।’
চিকিৎসকরা আরও বলেন, ‘অনেক মেডিকেল কলেজ চিকিৎসকদের বেতন ভাতা দিচ্ছে না। এসব মেডিকেলকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের বন্ধ করে দিতে হবে। এছাড়াও ডিপ্লোমাদের জন্য আলাদা কাউন্সিল করতে হবে।’
লংমার্চ টু বিএমডিসি কর্মসূচিতে বিএমডিসি কর্তৃক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাক্টিশনার হিসাবে বিবেচনা করার প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি দাবিও তুলে ধরেন চিকিৎসকরা। দাবিগুলো হলো- এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করা যাবে না। স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে ডাক্তার ব্যতীত স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ডাক্তার দ্বারা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ফার্মেসি ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না। বেসরকারি চিকিৎসকদের বেতন কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে (মেডিকেল অফিসার, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার, সহকারী রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রার)। অভিজ্ঞতার আলোকে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। বিএমডিসি ব্যতীত ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারও নেই।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাধারণ চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থী সমাজের ব্যানারে চিকিৎসকরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তারা বিএমডিসি কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানান।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ডা. মো. শাহেদ রফি পাভেল বলেন, আমরা শুরুতে বিএমডিসিতে জড়ো হওয়ার কর্মসূচি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে ডিপ্লোমাধারীরাও পালটা কর্মসূচি দেয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি এই কর্মসূচিকে ঘিরে অনেকেই ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন।