ছবি-সংগৃহীত
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ পিএলসিতে হামলা চালিয়েছে শতাধিক ব্যক্তি। এ সময় একাধিক গণমাধ্যমের আসবাবপত্র ও বেশ কিছু যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা।
সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ হামলা হয়। হামলার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের কেউ জড়িত নয় বলে মনে করছেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সাংবাদিকরা।
ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ঢাবি শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সমন্বয়ক হাসিবুল হোসেন শান্ত, আইইউবি-এর সমন্বয়ক তরীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সহমর্মিতা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে আকস্মিকভাবে শতাধিক মানুষের একটি মিছিল ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সামনে আসে। তাদের হাতে ছিল হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা। তারা স্লোগান দিতে দিতে জোরপূর্বক প্রধান ফটক খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে শুরু হয় ভাঙচুর। তারা রেডিও ক্যাপিটালের ভেতরে ঢুকেও হামলা চালায়। সেখানে টেবিল, কম্পিউটার, এসি সবকিছুতে ভাঙচুর চালানো হয়। কালের কণ্ঠের অভ্যর্থনা কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। সেই সঙ্গে মিডিয়া প্রাঙ্গণে রাখা ১১টি গাড়িতে ব্যাপক হামলা চালানো হয়।
এছাড়া ভবনের কাচের দেওয়াল ও দরজা ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্র“পের পাশাপাশি তিনটি ভবনের কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর, নিউজ টোয়েন্টিফোর চ্যানেল, টি স্পোর্টস ও ক্যাপিটাল এফএম রেডিও অফিসের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
কালের কণ্ঠের উপসম্পাদক হায়দার আলী যুগান্তরকে বলেন, পরিকল্পিতভাবে একটি চক্র বসুন্ধরা গ্রুপের এই মিডিয়াগুলোতে হামলা চালিয়েছে। তারা সাংবাদিকতার মনোবল ভেঙে দিতে চায়।