এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টরের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম
উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে যৌক্তিকতা আছে চলমান এমন খাতে দাতা সংস্থাগুলো অর্থায়ন চালিয়ে যাবে। এসব প্রকল্প বন্ধ করা হয়নি। পাইপলাইনেসহ নতুন প্রকল্পেও দাতা সংস্থাগুলো সহায়তা করবে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে তারা ইতিবাচক।
রোববার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. আডিমন গিন্টিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় দ্রব্যমূল্যসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় বিষয়ে সরকার সজাগ আছে। দেশে কোনো পণ্যের উৎপাদন কম হলে যতটা সম্ভব আমদানি করা হবে। সাধারণ মানুষ যেন চাপে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা হবে। তবে দেশে পণ্য উৎপাদন ভালো হলে সরবরাহ বাড়বে। এতে দ্রব্যমূল্য কমে আসবে।
উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতির বড় স্তম্ভ হচ্ছে দেশীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্য। দুর্নীতি প্রতিরোধ করে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হবে। এজন্য প্রতিবন্ধকতা দূর করার চেষ্টা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলোর মধ্যে শুধু খাদ্যদ্রব্য নয়, বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাও আছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমদানি পণ্যের কারণেও মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। সে বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। যতটুকু সম্ভব অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করতে হবে।
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক শর্ত আছে, সেসব বিষয় দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শুধু অর্থ মন্ত্রণালয় নয়, এর সঙ্গে এনবিআরসহ অন্যদেরও সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের রেশনিং চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমার কাছে সরকারি ও বেসরকারি সাধারণ মানুষ সবাই সমান। প্রত্যেকে যেন একটি সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে। আমি সেদিন চাল, ডাল, ডিমসহ পাঁচ খাদ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। এগুলো নিয়ে আমরা সজাগ, এগুলো আমরা করব। এটি যেন সমান হারে সরকারি-বেসরকারি সবাই পায় সেটি নিশ্চিত করব।