যাত্রাবাড়ীতে তিন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা: এমএসএফের নিন্দা-ক্ষোভ
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১১:০৪ পিএম
![যাত্রাবাড়ীতে তিন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা: এমএসএফের নিন্দা-ক্ষোভ](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/08/16/image-838834-1723827820.jpg)
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তিন শিক্ষার্থীকে তথাকথিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় এবং ঘটনাটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বিধায় সঠিক কারণ অনুসন্ধান করে দায়ী ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানায় সংস্থাটি। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদ থানা এলাকায় এই কিশোর তিনজন শিক্ষার্থী বেশ কিছু দিন ধরে মহাসড়কে ট্রাফিকের, বাজারের দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ ও ডাকাত আতঙ্কে রাতে পাহারার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
নিহত তিন শিক্ষার্থীর বিষয়ে সম্রাট শেখ নামের এক স্কাউট সদস্য জানান, ব্যাপক মারধরের শিকার তিন ছাত্রকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন মিলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। থানায় তারা ছটফট করছিল।
জানা যায়, সায়েদাবাদ এলাকায় কোনো একটি হোটেলে তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত দুজন হলেন সাইদুল ইসলাম ইয়াছিন (১৯) এবং সাইফ আরাফাত শরিফ (২০)। অপরজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এনে দুর্বৃত্তরা তাদের পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেলেও তার কোনো প্রমাণ দৃশ্যমান ছিল না বা ভুক্তভোগী কেউ অভিযোগও তোলেনি। যদিও মৃত্যুর আগে তাদের একজন স্বজনদের জানিয়েছেন, মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদের পেটানো হয়েছে।
ইয়াছিনের মা শিল্পী আক্তার জানান, ইয়াছিন ১৫ দিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছিল। মৃত্যুর আগে ইয়াছিন তাকে বলেছে, ‘ওরা আমাদের এখানে আর কাজ করতে দেবে না, এই জন্যই ওরা আমাদেরকে এভাবে অপবাদ দিয়ে মেরেছে। আমরা কোনো অন্যায় করিনি।’
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন মনে করে, যে কারণেই তাদের হত্যা করা হোক না কেন তা অসাংবিধানিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতায় এমএসএফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। হঠাৎ করে মারাত্মক আকার ধারণ করা এসব ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে, নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং সর্বোপরি দেশে অস্থিরতা বাড়ছে।