উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্পর্কে যা জানা গেল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যুক্ত হয়েছেন আরও কয়েকজন উপদেষ্টা। অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
নতুন উপদেষ্টারা হলেন- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ জনে।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ। তিনি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি পড়ার জন্য ঢাকায় চলে আসেন। তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আলী আহমেদ চৌধুরী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা সালেহা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে বিএ (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (ইউএন-সিডিপি) সদস্য এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অব ইকোনমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসএএনইআই) চেয়ারম্যান। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ১০ বছর এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন।