সরকার পতনের স্বস্তিতে ফের রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম

ছবি সংগৃহীত
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নিহত ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ এবং সরকার পতন তরান্বিত করতে রেমিট্যান্স শাটউাউনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এবার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ায় আগের কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন তারা। নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রবাসীরা বলছে, ফের ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর কথা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত মাসে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ফলে প্রবাসীরা কোনো রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেননি। এক পর্যায়ে প্রবাসীরা সামাজিকমাধ্যমে ঘোষণা দেন, তারা ব্যাংকিং চ্যানেলে আর রেমিট্যান্স পাঠাবেন না। এমন সিদ্ধান্তে বড় প্রভাব পড়ে গতমাসের প্রবাসী আয়ে।
প্যারিসের ব্যবসায়ী কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, বড় শক্তি হচ্ছে প্রবাসীদের সেভিংস। এটা কীভাবে বাংলাদেশে নেয়া যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনার মধ্যে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ করতে হবে।
ইতালি এক প্রবাসী বলেন, আমরা প্রবাসীরা ঐক্যবধ্য ছিলাম, যতদিন না স্বৈরাচার সরকারের পতন হবে ততদিন টাকা পাঠাবো না। এখন আবার টাকা পাঠাচ্ছি কারণ সরকার পদত্যাগ করেছে। নতুন ভাবে বাংলাদেশ গঠনের জন্যে আমরা প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখবো ইনশাআল্লাহ। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বেশি করেই টাকা পাঠাচ্ছি। আমরা চাই নতুন সরকার আমাদের দেশটাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করুক।
কুয়েতের প্রবাসীরা জানান, প্রবাসীরা আগে যারা এসেছে বা নতুন যা আসছে তারা সবাই নির্যাতিত। ছুটিতে গেলেও এয়ারপোর্টে লাঞ্ছিতের শিকার হন। এ ঘটনাগুলো মেনে নেয়া যায় না। নতুন সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ এমন যেন আর না হয়।
এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রবাসীদের মরদেহ সরকারি খরচে পাঠানো ও বিমানবন্দরে হয়রানী বন্ধ এবং বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট রুখে দিতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
বিশ্বব্যাংকের গবেষণা এবং সংশ্লিষ্ট অনেক জরিপের তথ্যমতে, বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবাসী রেমিট্যান্সের আকার ৪০ থেকে ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ পরিমান অর্থের পুরোটা বৈধপথে আসলে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে।