সংস্কৃতি কাউন্সিল গঠনের ডাক দিলেন শিল্পীরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১০:২০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
শিল্পকলার নানা মাধ্যমে নিবেদিত কর্মীদের ভবিষ্যৎ চর্চার ক্ষেত্র মজবুত করা ও শিল্পের সনাতন ও যুগোপযোগী ধারার বিকাশে সংস্কৃতি কাউন্সিল গঠনের ডাক দিয়েছেন শিল্পীরা। পাশাপাশি ধর্ম বনাম সেক্যুলারিজ তত্ত্বের বিভাজনকারী চিন্তা ও মতাদর্শ থেকে দেশকে সাংস্কৃতিকভাবে মুক্ত করতে ঐকমত্যেও পৌঁছেছেন চিত্রকলা, আলোকচিত্র, নাট্যকলা, চলচ্চিত্র শিল্পীদের একাংশ।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘রাষ্ট্র সংস্কার, সংস্কৃতি সংস্কার’ শিরোনামে সমাবেশের আয়োজন করেন শিল্পীরা। ‘গণহত্যা ও নিপীড়নবিরোধী শিল্পী সমাজ’ এর ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চিত্র সমালোচক মোস্তফা জামান, আলোকচিত্রী-শিক্ষক মুনেম ওয়াসিফ, কিউরেটর আমিরুল রাজিব, শিল্পী বিথী ঘোষ, শিল্পী অমল আকাশ, আরিফ বুলবুল। সমাবেশে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লেখক-শিল্পী অরূপ রাহী।
অরূপ রাহী বলেন, ‘শিল্প-সংস্কৃতির নানা চর্চায় যুক্ত মানুষজন ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে নিজ নিজ চর্চা অব্যাহত রেখে ছাত্র-জনতার কাতারে শামিল হয়ে রাষ্ট্র-সমাজ-সংস্কৃতি মেরামতে ভূমিকা রাখবার সময় এখন। দল-মত-ধর্মের নামে আধিপত্যবাদী কার্যকলাপ প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্র ও সংস্কৃতি সংস্কার নিশ্চিত করতে কয়েকটি বিষয়ে আমাদের ঐকমত্য জরুরি।’ পরে তিনি ৭টি বিষয়ে আলোকপাত করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশে শহিদদের স্মরণে ‘ইনসাফের দেয়াল’ শিরোনামে একটি স্মারক গড়ার প্রস্তাব করেন রাহী; যাতে সব শহিদের নাম খোদাই করা থাকবে। এই শিল্পকর্ম রাজধানীর পাশাপাশি অন্যান্য জেলায় স্থাপন করা যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
দেশের নানা স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ, শিল্পকলা একাডেমি, ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদ জানান মোস্তফা জামান। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে এখনো যদি গণতান্ত্রিক চেতনা না জাগে, তাহলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব না। আমরা চাই সম্প্রীতির বাংলাদেশ যেখানে বাংলাদেশি আর পাহাড়-সমতলে বসবাস করা সব জাতিসত্ত¡ার মানুষ একত্রে বসবাস করবে।’