আমলাতন্ত্র সংস্কার করতে হবে: শিক্ষক নেটওয়ার্ক
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১০:১২ পিএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমলাতন্ত্র সংস্কার ও জনবান্ধব প্রশাসন সৃষ্টির প্রস্তাবনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে কী চাই?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা থেকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বিপদ আসতে পারে তিন দিক থেকে। পূর্ববর্তী সরকারের সুবিধাভোগী, সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের দিক থেকে, যারা ভিন্ন মতাদর্শ ও রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন এবং অপরের মত সহ্য করতে রাজি নন।
গীতি আরা নাসরীন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রথমেই বলতে হবে, তারা কী কী কাজ করবেন। আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে জুলাই-হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাবনায় বলা হয়, গত সপ্তাহজুড়ে আমরা দেখেছি, যাদের জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সেই পুলিশ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে, অন্যান্য বাহিনীতেও নেই কোনো জবাবদিহিতা। এতদিন ধরে দুর্নীতি ও জবাবদিহিতার অভাবে পুলিশের অতিরিক্ত ক্ষমতায়ন হয়েছে ফলে এদের বিরুদ্ধে প্রচুর ক্ষোভ জমা হয়েছে। বিদ্যমান পক্ষপাতদুষ্ট বিচার ব্যবস্থার ওপর অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আবার সরকার পতনের পর সংখ্যালঘু হত্যা, নিপীড়ন, ভাস্কর্য-জাদুঘর-মাজার আক্রমণ, শিল্পীর বাড়ি ভাঙচুর, চুরি, ডাকাতি, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ ভয়ংকর নির্যাতন হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীগুলো নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
পূর্ববর্তী ভুলগুলো সংশোধন করতে আমলাতন্ত্র সংস্কার করে জনবান্ধব প্রশাসনিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে হবে। কীভাবে পুলিশ প্রশাসনের সংস্কার ও পুনর্গঠন করা যায় এবং বিচার ব্যবস্থাকে নিরপেক্ষ করা যায় সেটা ঠিক করতে হবে। হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হলে যেই ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে সেটি যেন নিরপেক্ষ হয় তা নিশ্চিত করতে হবে এ সরকারকে।