সীমান্তবর্তী ২১ থানার কার্যক্রম শুরু বিজিবির নিরাপত্তায়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ও যশোর অঞ্চলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রংপুর রেঞ্জের সীমান্তবর্তী ১১টি থানা এবং খুলনা রেঞ্জের সীমান্তবর্তী ১০টি থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম। এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে চলমান পরিস্থিতির আলোকে সীমান্তবর্তী জনপদে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে জনমনে আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিজিবি সীমান্ত ও এর আশেপাশের জনপদসহ সীমান্তবর্তী থানাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। থানাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারে মোবাইল ও স্ট্যাটিক টহল পরিচালনাসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এ ছাড়া সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী এলাকায় জননিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটায় এমন সব কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বিজিবির সহায়তার জন্য নিকটস্থ বিওপি ও ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে জরুরি মোবাইল সেবা চালু করেছে। বিজিবির এই ধরনের কার্যক্রমের ফলে ইতোমধ্যে সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী জনপদে শৃঙ্খলা এবং জনমনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে। সীমান্তবর্তী থানাগুলোতে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদারের ফলে ইতোমধ্যে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রমেও গতি ফিরতে শুরু করেছে। জনগণ বিভিন্ন সেবার জন্য থানায় যাওয়া-আসা শুরু করেছে।
‘সাময়িক বরখাস্ত’ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগ বহালের নির্দেশ
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিজিবির নিরাপত্তায় ইতোমধ্যে রংপুর রেঞ্জের সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের হাকিমপুর থানা, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম থানা, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানা, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া থানা, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি, রৌমারী, চর-রাজিবপুর, কচাকাটা ও ঢুষমারা থানাসহ ১১টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, খুলনা রেঞ্জের সীমান্তবর্তী যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, দেবহাটা ও কলারোয়া থানা, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও জীবননগর থানা, মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী থানা এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানাসহ মোট ১০টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।