Logo
Logo
×

জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারে বীরপ্রতীক, কে ফারুক ই আজম

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:১১ পিএম

অন্তর্বর্তী সরকারে বীরপ্রতীক, কে ফারুক ই আজম

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। 

বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বঙ্গভবনের নতুন সরকারকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম সদস্য নৌকমান্ডো ফারুক-ই আজম বীরপ্রতীক। তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীতে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন ফারুক-ই-আজম।  সে সময় খুলনায় ছিলেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারে জায়গা পেলেন প্রথম আলেম, কে এই খালিদ হোসেন

যুদ্ধ শুরু হলে অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছান ফারুক-ই-আজম। ৬ মে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের হরিণা ইয়ুথ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন তিনি। এসময় একদিন শুনলেন, পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ করা হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে যান তিনি। পলাশীতে দুই মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট ‘অপারেশন জ্যাকপট’এর জন্য তাকে মনোনীত করা হয়। অপারেশন জ্যাকপটে চট্টগ্রামের বন্দর আক্রমণকারী অভিযানিক দলের উপঅধিনায়ক ছিলেন ফারুক-ই আজম।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অভিযান ছিল অপারেশন জ্যাকপট। ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১৬ আগস্টের প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এবং চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে একই সময়ে পরিচালিত হয় এই আত্মঘাতী গেরিলা অভিযান। এই অভিযানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অস্ত্র ও রসদবাহী জাহাজ ধ্বংস করতে সক্ষম হন মুক্তিযোদ্ধারা।

ধ্বংস হওয়া জাহাজগুলোর মধ্যে বেশকিছু বিদেশি জাহাজও ছিল, যেসব জাহাজ পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করছিল। ফলে অপারেশন জ্যাটপটের খবর সারা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশ্ববাসী বুঝতে পারে, বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানের সঙ্গে মরণপণ লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে অপারেশন জ্যাকপট খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিশন হিসেবে পরিগণিত হয়।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম