জামিনে নয়, নির্বাহী আদেশে রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি বার সভাপতির
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
জামিন আবেদনের মাধ্যমে নয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা প্রয়োগ করে নির্বাহী আদেশে সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি তুলে ধরেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, রাষ্ট্রকে নতুন করে সাজাতে হবে। সব লুটপাট করে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা যেন ব্যাংক থেকে কোনও টাকা উত্তোলন করতে না পারে, বাংলাদেশ ব্যাংককে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কয়েকজন বিচারপতি শপথ ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন, নেতাকর্মীদের সাজা দিয়েছেন, দুর্নীতি করেছেন ও অতি উৎসাহী হয়ে বিচার ব্যবস্থাকে দূষিত করেছেন। তারা বিচারক হওয়ার অনুপযুক্ত। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সব কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও সারা দেশে থাকা রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে থাকা সবার পদত্যাগ দাবি করেন বারের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে হওয়া সব রাজনৈতিক মামলা নির্বাহী আদেশে প্রত্যাহার করতে হবে। রাজনৈতিক কারণে যাঁদের কারাগারে রাখা হয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’
মাহবুব উদ্দিন খোকন আরও বলেন, ‘এ দেশের সংখ্যালঘুদের ৯০ ভাগ সম্পত্তি আওয়ামী লীগ দখল করেছে। অনেক স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর করছে, আগুন দিচ্ছে। দেশবাসীকে অনুরোধ করব, আপনারা এসব পাহারা দিন, যাতে কোনো ক্ষতি না হয়।’
এ সময় তিনি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে ভারতের প্রতি অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ ফজলে ইলাহী অভি ও ফাতেমা আক্তার।