শেষ মুহূর্তে দিল্লির সহযোগিতাও পাননি শেখ হাসিনা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০৫:০৮ পিএম
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সোমবার বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে যাত্রা করে।
এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারা হেলিকপ্টারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর গণভবন দখল করে নেয় ছাত্র-জনতা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও দখল করে নেন তারা।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যান। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।
সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, শেষ সময়ে শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাকে উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে বিমান পাঠানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি।
ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারত কোনো বিমান পাঠাতে পারে না। কারণ, তাতে আইন লঙ্ঘিত হতে পারে। ভারত থেকে জানানো হয়, শেখ হাসিনাকে আগে ভারতে পৌঁছতে হবে। তারপর সেখান থেকে তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে তার নিকটবর্তী অবতরণ স্থান ছিল আগরতলা বিমানবন্দর। সেখানেই নেমেছেন শেখ হাসিনা। আগরতলা থেকে তাকে বিশেষ বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে।
গণভবনের পর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ও জনতার দখলে