Logo
Logo
×

জাতীয়

এক নজরে ‘মার্চ টু ঢাকা’ ও কারফিউর সর্বশেষ চিত্র

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫০ এএম

এক নজরে ‘মার্চ টু ঢাকা’ ও কারফিউর সর্বশেষ চিত্র

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানের ডাকে আজ ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছেন ছাত্র-জনতা। সকাল থেকেই ঢাকার গলিগলিতে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকার ভেতরে কিছু জায়গায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল রয়েছে। তবে প্রবেশ মুখে শক্ত অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সেনাবাহিনী। 

সোমবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যা দেখা গেল—  

মার্চ টু ঢাকার সমাবেশস্থল শাহবাগে ঢুকতে সেনাবাহিনী তারকাঁটা দিয়ে আটকে রেখেছে।

আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকা অনেকটা ফাঁকা। নেতাকর্মীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। সচিবালয় এলাকাতেও কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই। 

সকাল সাড়ে ৯টায় টিকাটুলি মোড় অর্থাৎ বঙ্গভবনের প্রবেশ মুখে সেনাবাহিনী তারকাঁটা দিয়ে আটকে রেখেছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে গণভবন এলাকায়। ধানমন্ডি ২৭, শ্যামলী, আগারগাঁও, বিজয় সরণি ও ফার্মগেট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না সংসদ ও গণবভন এলাকায়। 

মহানগর প্রোজেক্ট থেকে হাতিরঝিল হয়ে কারওয়ানবাজার সোনারগাঁও মোড় দিয়ে পুলিশের একটা টহল গাড়ি ছাড়া কোনো প্রশাসন চোখে পড়েনি।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাখালী রেলগেট এলাকায় ১২ জন সেনাবাহিনী রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে রাখেন। এ ছাড়া অন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দেখা যায়নি। কুড়িল থেকে কাকলী-বনানী এলাকায় একটি পুলিশের গাড়ি ছাড়া তেমন কোনো বিশেষ নিরাপত্তা দেখা যায়নি। 

তাবে রাজধানীর ভেতরে বারিধারা ও রামপুরা এলাকায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। মালিবাগ রেলগেটসহ এর আশপাশের এলাকায় প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।  

সকাল সাড়ে ৬টায় দেখা যায়, সাইনবোর্ড ঢাকামুখী রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে পাহারা দিচ্ছে বিজিবি। তবে যাত্রাবাড়ী-ডেমরা রোড ফাঁকা। কোনো চেকপোস্ট লক্ষ করা যায়নি। যাত্রাবাড়ী মোড়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি দেখা যায়। কাজলা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রবেশ মুখে পুলিশ ব্যারিকেড দেখা যায়। 

কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকার আরেক প্রবেশ পথ বাবুবাজার ব্রিজের ওপর দিয়ে ঢাকায় ঢুকতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অনেকেই প্রয়োজনে হেঁটে ও নৌকায় আসা-যাওয়া করছে। 

যেসব এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল দেখা যায় সেখানে গণমাধ্যমকর্মীরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে আছেন তারা সড়কে সাংবাদিকদের বাধা দিচ্ছেন বিভিন্ন ভাবে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে কারফিউ পাশ দেওয়া হলেও সে বিষয়ে অনেক সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানে না। যার কারণে গণমাধ্যমকর্মীদের শিকার হতে হচ্ছে হেনস্তার।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম