Logo
Logo
×

জাতীয়

‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরার ঘোষণা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম

‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরার ঘোষণা

ছবি সংগৃহীত

উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে দেশছাড়ায় একাডেমিক জগতে প্রতি বছর মেধা পাচার হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। দেশে মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়নের পরিবেশ না থাকায় এ পরিস্থিতি বেড়েই চলেছে। 

রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যোগ্য কর্মসংস্থানের অভাবে গত দুই দশকে দেশ ছেড়েছেন বহু মেধাবী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদফা দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকে।  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শনিবার থেকে তারা ঘোষণা দিচ্ছেন– বিদ্যমান পরিস্থিতি আমূল পরিবর্তন হলে ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে’ দেশের সেবায় ফিরতে প্রস্তুত। এদের মধ্যে অনেকে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করার কথাও জানিয়েছেন। 
সামাজিকমাধ্যমে ‘রিভার্স ব্রেন ড্রেন বিডি’  (#reversebraindrainbd) হ্যাশট্যাগ দিয়ে তাদের অনেকেই পোস্ট দিচ্ছেন।  

মামুন রশিদ নামে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একজন লিখেছেন— ‘আমি ড. মামুন রশিদ যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সে ৮ বছর শিক্ষকতা করেছি। এখন ইউএস গভর্নমেন্টে ই লার্নিং ডেভেলপার হিসেবে কাজ করি এবং সরকারি মানবসম্পদ ট্রেনিংয়েও দায়িত্বরত আছি। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্যে আমি বর্তমান কর্মস্থল থেকে দীর্ঘমেয়াদি ছুটি নিয়ে সশরীরে দেশে থেকে বিনা পারিশ্রমিকে সেবা দিতে প্রস্তুত আছি’। 

এস্তোনিয়া প্রবাসী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম নিজের ফেসবুকে লেখেন— ‘আমি আমিনুল ইসলাম।  নামের পাশে ডক্টর উপাধিও লাগাতে চাইছি না।  দেশ-বিদেশের বড় ডিগ্রির কথাও বলতে চাইছি না। দেশ-বিদেশের অনেক ছাত্রছাত্রীকে পড়িয়েছি। তাদের কথাও বলতে চাইছি না।  স্বাধীন বাংলাদেশে যদি একজন কৃষক কিংবা শ্রমিক তিন বেলা পেট ভরে খেতে পারে।  তাকে যদি বিনা চিকিৎসায় মরতে না হয়। তাকে যদি সরকারি অফিসে গিয়ে ‘স্যার’, ‘স্যার’ বলে বেড়াতে না হয়।  তাকে যদি রাস্তায় বেঘোরে মরতে না হয়। তাকে যদি ভয় পেতে না হয় নিজের মতপ্রকাশ করার জন্য। তা হলে বিদেশের রঙিন জীবন ফেলে আমি নিজ শহর ঢাকায় এমনকি কোনো রেস্তোরাঁয় শ্রমিকের কাজ করতেও রাজি আছি’। 

ইমরান নামে আরেক ফেসবুকার লিখেছেন, ‘আমি ড. আল ইমরান যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল)-এ গবেষক হিসাবে কাজ করছি। সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহ যেমন বুধগ্রহ, মঙ্গলগ্রহ, শনিগ্রহের চাঁদ, প্লুটো ইত্যাদি নিয়ে কাজ করি। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমি কাজে আসতে আগ্রহী’। 

‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে মহাকাশ গবেষণায় সহায়তা করতে চাই। তরুণদের একটি মেধাবী আর দক্ষ মহাকাশ গবেষক তৈরিতে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশে একটি কার্যকর মহাকাশ গবেষণা ইনস্টিটিউট গড়তে চাই। আমি স্বপ্ন দেখি— একদিন বাংলাদেশের পতাকা চাঁদের বুকে স্থাপন করা হবে’। 

‘ব্রেন ড্রেন’ অনুন্নত ও উন্নয়শীল দেশগুলোতে খুবই প্রচলিত পরিভাষা।  এটি যে কোনো দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।ব্রেন ড্রেনকে মেধা পাচার হিসেবেই ধরা হয়। দেশের মেধাবী মস্তিষ্কগুলো যখন যোগ্য কর্মসংস্থান কিংবা উচ্চতর গবেষণার জন্য উন্নত দেশে পাড়ি জমায় এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে রয়ে যায়, সেটিই ব্রেন ড্রেন বা মেধাপাচার।  এত বছর ধরে দেশ ছেড়ে যাওয়া সে প্রবাসীরাই এবার দেশে ফিরতে উন্মুখ। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম