হঠাৎ ইন্টারনেট ও ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়ায় ১৩ দিনে ই-কমার্স খাতে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার। তিনি বলেছেন, প্রতিদিন এ অঙ্ক বেড়েই চলেছে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় এই ব্যবসা পুরো বন্ধ হয়ে যায়।

বুধবার বিকালে ই-কমার্স অ্যাসোসিশেন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্ষয়ক্ষতির অঙ্ক এবং সংকট উত্তরণে কয়েকটি দাবি ও পরামর্শ তুলে ধরেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাহাব উদ্দিন শিপন, সহ-সভাপতি সৈয়দা আম্বারীন রেজা, সাধারণ সম্পাদক নাছিমা আক্তার নিশা, সহ-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তাসফিন আলম, অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ, পরিচালক শাহারিয়ার হাসান, মো. সাইদুর রহমান সাঈদ, ইলমুল হক সজীব ও ই-ক্যাব নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ই-ক্যাব সভাপতি আরও বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট চালু থাকলেও গতি কম থাকায় ইউটিউব এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খুব বেশি কাজ করা যাচ্ছে না। ফলে সংকট এখনো পুরোপুরি কাটেনি। এছাড়া কারফিউ ও নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ বিভিন্ন কারণে ই-কমার্স খাতের ৯৫ শতাংশ লেনদেন এখনো বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, ই-ক্যাব থেকে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

শমী কায়সার বিগত কয়েকদিন ধরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, মোবাইল ইন্টারনেট ও ফেসবুক চালু করার জন্য ই-ক্যাব থেকে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত উলে­খ করে তিনি বলেন, কেউ এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না এবং পরিস্থিতি উত্তরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

গতিশীল ইন্টারনেট চালু ছাড়াও ই-ক্যাব নেতারা সরকারের নিকট তাদের দাবি তুলে ধরেন। দাবির মধ্যে রয়েছে, যেসব উদ্যোক্তার ব্যাংক ঋণ রয়েছে তা পরিশোধের সময়সীমা ৬ মাস বৃদ্ধি করা, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা, লজিস্টিকস ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সাময়িকভাবে ভ্যাট মওকুফ করা, ট্রেড লাইসেন্সের বিলম্ব ফি মওকুফ ও মেয়াদ বৃদ্ধি করা। এছাড়া ফেসবুকে সচল থাকা বিজ্ঞাপনের মূল্য ফেরত বা পুনঃবিজ্ঞাপনের জন্য ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেন তারা।
ইন্টারনেট সেবা বন্ধের কারণে চলমান সংকট ও অন্যান্য সমস্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ই-কমার্স খাতের ক্ষয়ক্ষতি ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তা থেকে উত্তরণে সরকারের সহযোগিতা চান উদ্যোক্তারা।