উপস্থাপকের চেয়ারে বসে আমি সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি: দীপ্তি চৌধুরী
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
দীপ্তি চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে টু দ্য পয়েন্ট নামে একটি অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকায় থেকে আলোচনায় আসেন। মূলত ধৈর্য ও ভদ্রোচিত আচরণের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সবার নজর কাড়েন তিনি। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে অনুষ্ঠিত এই পর্ব দিয়ে আলোচনায় এলেও উপস্থাপনায় নতুন নন দীপ্তি।
২০১৬ সালে ক্লাশ এইটে পড়াকালে চ্যানেল আইয়ের ‘স্বর্ণ কিশোরী’ নামের একটি অনুষ্ঠান দিয়ে উপস্থাপনা শুরু করেন দীপ্তি। এরপর চ্যানেলটির তারকা কথনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে দেখা গেছে তাকে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক দীপ্তি চৌধুরী। সম্প্রতি রাজনৈতিক টকশো উপস্থাপনা দিয়ে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে টকশোতে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর ওপর বারবার মেজাজ হারান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
তিনি ঘাবড়ে না গিয়ে ধৈর্য সহকারে দারুণভাবে বিষয়টি সামলে নেন। পর্বটি প্রচারের পর থেকে আলোচনায় দীপ্তির উপস্থাপনা, ধৈর্য ও বাচনভঙ্গি। অনুষ্ঠানের একটি স্ক্রিনশট সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করে দীপ্তিকে প্রশংসায় ভাসান নেটিজেনরা। সেই ছবিতে গালে হাত দিয়ে মুচকি হাসতে দেখা যায় তাকে।
‘টু দ্য পয়েন্ট’ নামের এই রাজনৈতিক টকশোর উপস্থাপকের চেয়ারে বসার আগে কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেন—এমন প্রশ্নের জবাবে দীপ্তি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কেউ রাজনীতির বাইরে না। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সব সময় রাজনীতির খোঁজখবর রাখারই চেষ্টা করি। উপস্থাপকের চেয়ারে বসে আমি সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি। সাধারণ মানুষের যে জায়গায় ধোঁয়াশা আছে, সেই জায়গাটি পরিষ্কার করার চেষ্টা করি।’
এ উপস্থাপিকা বলেন, ‘সবার মতো আমারও প্রশংসা পেয়ে ভালো লাগছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে যা করি, সেদিনও তা-ই করেছি। অতিথিদের সম্মানের সঙ্গে সেই প্রশ্নটাই করার চেষ্টা করি, যার উত্তর আমার দর্শক শুনতে চান। কারণ এই অনুষ্ঠানে আমি দর্শকের হয়ে প্রশ্ন করি।’
উপস্থাপনা পেশা প্রসঙ্গে দীপ্তি বলেন, ‘উপস্থাপনা একটি বুদ্ধিবৃত্তিক পেশা। এখানে আত্মোন্নয়নের দিকে বেশি নজর দিতে হয়। নিজের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা বাড়াতে পড়াশোনা করতে হয়। আমি সব সময় পোশাক ও সাজসজ্জার চেয়ে ভেতরের প্রস্তুতিতে বেশি জোর দিই।’
তিনি বলেন, ‘আমি যার ইন্টারভিউ করছি, তার সম্পর্কে ভালো করে জানাকে বেশি গুরুত্ব দিই। ভবিষ্যতে উপস্থাপনার মাধ্যমে যেন ইতিবাচকতা ছড়াতে পারি এবং মানুষের জন্য কিছু করতে পারি, সেটিই প্রত্যাশা করি।’
উল্লেখ্য, ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমে জড়িত ছিলেন দীপ্তি। অংশ নেন আবৃত্তি, বিতর্ক, গান ও মঞ্চ অভিনয়ে। বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারও জিতেছেন অনেক। লেখালেখিতেও দক্ষতা আছে তার। ২০২১ সালে প্রকাশ হয় তার প্রথম বই ‘দীপ্ত কৈশোর’। তার লেখা দ্বিতীয় বই ‘বাধা যত উপড়ে ফেলো’। জাতিসংঘের ফুড সিস্টেম সামিটে ২০২১ সালে ইয়ুথ লিডার হিসেবে যুক্ত ছিলেন দীপ্তি। এখন যুক্ত আছেন অ্যাক্ট ফর ফুড নামের প্রজেক্টে। এটি পুরো বিশ্বে ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন নিয়ে কাজ করে। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন দীপ্তি।