এপোস্টিল কনভেনশনে যুক্ত হলো দেশ, বছরে বাঁঁচবে ৬০০ কোটি টাকা: নেদারল্যান্ডসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ এএম
ছবি সংগৃহীত
এখন থেকে সত্যায়ন করা নথিপত্র অন্য দেশে গিয়ে পুনরায় সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। ফলে প্রতিবছর বিদেশগামী বাংলাদেশিদের সাশ্রয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। নেদারল্যান্ডসে এপোস্টিল কনভেনশনে যোগদান অনুষ্ঠানে দেশের পক্ষে 'ইন্সট্রুমেন্ট অভ একসেশন' আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার দ্য হেগ শহরে স্থানীয় সময় দুপুরে নেদারল্যান্ডস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে 'দ্য কনভেনশন অন এবোলিশিং দ্য রিকোয়ারমেন্ট অভ লিগালাইজেশন অভ ফরেন পাবলিক ডকুমেন্ট' বা এপোস্টিল কনভেনশন- ১৯৬১ এর পক্ষভুক্ত হলো বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নেদারল্যান্ডস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল ড. হাছান মাহমুদকে স্বাগত জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ নাগরিকদের জন্য এই চুক্তির প্রয়োজনীয়তা ও তাৎক্ষণিক সুবিধাদি ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, এর ফলে এখন থেকে বিদেশগামী ছাত্র-ছাত্রী, পেশাজীবী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিদেশে ভর্তি ও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল পাবলিক ডকুমেন্ট সনাতন পদ্ধতিতে সত্যায়িত করতে হতো, তা দ্রুততর, সহজ ও সুলভভাবে করা যাবে।
এই কনভেনশনে যোগদান বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ এবং এতে দেশের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, কারণ এর ফলে ই-এপিপি বা ইলেকট্রনিক এপোস্টিল প্রোগ্রাম পদ্ধতিতে সত্যায়ন করে ইলেকট্রনিক এপোস্টিল সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে যার সত্যতা ও সঠিকতা সার্টিফিকেটে বিদ্যমান কিউআর কোড দিয়ে বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে যাচাই করা যাবে। এতে বিদেশগামী ছাত্র-ছাত্রী এবং পেশাজীবীদের বিভিন্ন ধরণের হয়রানি ও ভোগান্তি সম্পূর্ণ লাঘব হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, নিজ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা এপোস্টিল সার্টিফিকেট ব্যবহার করলে বিদেশি দূতাবাস বা বিদেশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বিদেশি অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের সত্যায়নের জন্য শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে তাদের দ্বারস্থ হতে হবে না। এতে প্রতি বছর বিদেশগামী বাংলাদেশিদের আনুমানিক ৫০০-৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে মন্ত্রিসভায় এপোস্টল কনভেনশন স্বাক্ষরের অনুমোদন দেয় সরকার। ৬ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এটি আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকর হলো এবার।