Logo
Logo
×

জাতীয়

স্বামী-সন্তানের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ের সামনে স্বজনরা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ১০:০৯ পিএম

স্বামী-সন্তানের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ের সামনে স্বজনরা

ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ জেলা উপজেলায় ‘ব্লক রেইড’ চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। র‌্যাব ও পুলিশের ভাষ্য, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। নিরপরাধ কেউ গ্রেফতার হচ্ছেন না। অন্যদিকে, গ্রেফতার হওয়া স্বজনদের ভাষ্য, রাতের অন্ধকারে সাদা পোশাকে বাসায় ঢুকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে আসা হচ্ছে আপনজনদের। এর মধ্যে কাউকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। আবার অনেককে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে না। ডিবি পরিচয়ে তুলে এনেছে দাবি করে অনেকের স্বজনদের ডিবি কার্যালয়ের সামনে রোববার অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে কথা হলে জানান এসব ঘটনা।

ডিবি কার্যালয়ের সামনে দিনভর সরেজমিনে দেখা মেলে অনেক স্বজনদের। এর মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের স্বজনরা যেমন এসেছেন, তেমনি এসেছেন আরও অনেকে। স্বজনদের প্রত্যেকের দাবি, তাদের সন্তান, স্বামী কিংবা ভাইদের কোনো কারণ ছাড়াই ধরে আনা হয়েছে। তারা দ্রুত স্বজনদের ফেরত চেয়েছেন। আর অপরাধ করে থাকলে আটকে না রেখে আদালতে হাজির করার কথা বলেন।

ডিবি কার্যালয়ের উলটোদিকের ফুটপাতে কথা হয় শারমিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি জানান, কেরানীগঞ্জের আটিবাজার থেকে শনিবার রাতে ডিবি পরিচয়ে তার স্বামী নাজিম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক। তার স্বামী বেকারি ব্যবসায়ী। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। থানায় গিয়ে কোনো খোঁজ না পেয়ে এসেছেন ডিবি কার্যালয়ে। সেখানেও কোনো খোঁজ পাননি। তবে যারা তুলে নিয়ে গেছে তাদের একজনকে চিনতে পেরেছেন। পরিচিত ওই ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রহমান হতে পারে। টিভিতে তাকে দেখেছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, আমার স্বামী রাজনীতি করেন না। তার নিউরো সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপ আছে। আমি ওষুধ নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে এসেছি। শনিবার রাত ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কেউ খোঁজ দিচ্ছে না। কেউ চক্রান্ত করে ফাঁসাতে পারে। গ্রেফতার করলে আদালতে চালান করুক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ভাই ও ভাগনের খোঁজে এসেছেন রাজিয়া বেগম নামে এক নারী। তিনি বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আমার ভাই তাহের আহমেদ তাহেরী ও ভাগনে সাদ্দামকে তুলে আনা হয়েছে। তারা স্থানীয় সাংবাদিক। শনিবার রাত ৮টার দিকে দুজনকে তুলে আনা হলেও কারণ জানানো হয়নি। আমি রাতেও এসেছিলাম, রোববার সকালেও এসেছি। কিন্তু ডিবি পুলিশ কথা বলছে না। তাহেরী মোহাম্মদপুর ও জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসা নিয়ে প্রতিবেদন করায় ফাঁসানো হতে পারে।

বরিশাল সদরের রূপাতলী থেকে ছেলের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ের সামনে এসেছেন মা বছিরন বেগম। তিনি বলেন, ২৪ জুলাই রাজধানীর এক হাসপাতালে ভর্তি থাকা স্বজনকে দেখতে এসে নিখোঁজ হয় আমার ছেলে মুদি দোকানি সোহাগ হাওলাদার। ডিবি পুলিশ তুলে এনেছে এমনটা শুনে খুঁজতে এসেছি। বছিরন আরও বলেন, আমার স্বামী নেই। এই ছেলেই আমাকে দেখাশোনা করে। তার ১৭ মাস বয়সি মেয়ে আছে। তার আয়ে পরিবার চলে। আমার ছেলে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম