সব সহিংসতার স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হওয়া উচিত: জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বলেছেন, সব সহিংসতার স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হওয়া উচিত। বাংলাদেশে যা ঘটছে, যে গণগ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ড তারা দেখছেন, সে সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ অত্যন্ত স্পষ্ট ছিল।
বুধবার বিফ্রিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডুজাররিক এসব কথা বলেন।
মুখপাত্রের কাছে ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিলÑপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যবসায়ী নেতারা অবহিত করেছেন যে, ছাত্র আন্দোলনকে পুঁজি করে একটি পরিত্যক্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করছে। এর জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক আরও বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করবে এবং তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারে নিশ্চয়তা দেবে কর্তৃপক্ষ। এই অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চুক্তিতে (কোভেন্যান্টস) রয়েছে।
তিনি বলেন, সব সহিংস কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত, যা হবে সংলাপের উপযোগী। বিভিন্ন দেশে, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সম্প্রতি প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখেছি। তরুণরা সেখানে বিশ্বের অবস্থা, তাদের ভবিষ্যৎ, প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি তাদের হতাশা প্রকাশ করেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিক্রিয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। এর একটি অংশ হলো সরকারের শাসন (গভর্ন্যান্স) ইস্যু। কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যেখানেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ হোক, জনগণকে গ্রেফতারের আতঙ্ক, আহত হওয়ার আতঙ্ক অথবা এর চেয়েও খারাপ কোনো অবস্থার আতঙ্ক ছাড়াই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভ করতে দেওয়া উচিত।
এ সময় অন্য এক সাংবাদিক জানতে চান, নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শান্তিরক্ষী পাঠানোর তালিকায় বাংলাদেশ যেহেতু দ্বিতীয়, তাই তাতে কি বাংলাদেশের ভ‚মিকার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে?
এ প্রশ্নের জবাবে ডুজাররিক বলেন, নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সরাসরি গুলি ব্যবহারসহ বাংলাদেশে সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ উদ্বেগের কথা এই মঞ্চ থেকে যেমন প্রকাশ্য বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, একইভাবে ঢাকায় ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে সরাসরি জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডুজাররিক আরও বলেন, শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের ভ‚মিকাকে আমরা সম্মান করি। জাতিসংঘ মিশনে যেসব সদস্যকে পাঠানো হয়, তাদের বিষয়ে মানবাধিকারের রেকর্ড যাচাই (স্ক্রিনিং) করার নীতির জন্য প্রথমত দায়ী সদস্য দেশ। তাদের নিশ্চিত করতে হয় যে, যেসব সদস্যকে (শান্তিরক্ষী মিশনে) মোতায়েনের জন্য মনোনীত করা হয়, তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বা মানবাধিকারবিষয়ক আইন লঙ্ঘন করেননি অথবা জাতিসংঘ থেকে তাকে কখনো ফেরত পাঠানো হয়নি। এ ইস্যুতে আমরা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্পষ্টতই যুক্ত রয়েছি। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, আমাদের মানবাধিকারবিষয়ক নীতির চাহিদা সবটা মেনে চলা হয়েছে।