কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল সারা দেশ। রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশেই মাঠে নেমে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। সাভারে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ।
পুলিশের সঙ্গেও আন্দোলনকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী হামলায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় ‘পুলিশের গুলিতে’ ইয়ামিন (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।
বৃহস্পতিবার বিকালে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি ছুড়লে ইয়ামিন নিহত হন। পরে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়ে গেলে পুলিশ পিছু হটে। বর্তমানে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাস্টস্ট্যান্ড এলাকা আন্দোলনকারীদের দখলে রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ডিইপিজেড এলাকায় আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে নবীনগর ও নতুন ইপিজেড এলাকায় আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড, সাভার বাসস্ট্যান্ড ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ডিইপিজেড এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ তাদের ওপর হামলা করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, এখন পর্যন্ত একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তিনি ঢাকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স টেকনোলজির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।