বিকাল পাঁচটার আগে শাহবাগে জড়ো হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এখনো স্লোগানে উত্তাল গোটা শাহবাগ মোড়, যেন থামছেই না। সাইডে দাড়িয়ে আছেন পুলিশের সদস্যরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘খেলা হবে, সারা বাংলায়, খেলা হবে, শাহবাগে’, ‘একাত্তরের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘বায়ান্নর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘ভয় দেখিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘হামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে জড়ো হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা। সেইসঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সেখানে আসেন। এর আগেই শাহবাগে সাঁজোয়া যান ও জলকামানসহ শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন পুলিশ।
স্লোগানে স্লোগানে শাহবাগে জড়ো হওয়ার পর পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশকে ইঙ্গিত করে তারা ‘ভুয়া’, ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন তারা।
এদিকে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যান্টিনের কাছে অবস্থান নিয়েছিলেন। পরে তারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, আদালতের রায়ের পর এখনো যারা আন্দোলন করছেন তারা প্রফেশনাল আন্দোলনকারী।
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে রোববার ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা। প্রথম দুই দিন রবি ও সোমবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। মঙ্গলবার গণসংযোগ কর্মসূচি পালনের পর বুধবার আবার সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন।
কোটা আন্দোলনকারীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে বৈষম্য দূর করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী জন্য কোটা সংস্কার করে সংসদে আইন পাস করতে হবে।