বর্তমানে যারা অবরোধ করছেন তারা প্রফেশনাল আন্দোলনকারী: ছাত্রলীগ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, কোটার জন্য জনদুর্ভোগ না বাড়িয়ে আইনসংগত পদ্ধতি মেনে সমাধান করা যায়। তা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়াও রয়েছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় আন্দোলনকারীরা যাচ্ছেন না। মূল আন্দোলনকারীরা আদালতের রায় মেনে নিয়ে পড়ার টেবিলে ফিরে গেছেন। বর্তমানে আদালতের রায় না মেনে যারা অবরোধ করছেন তারা অন্যপক্ষ, তারা প্রফেশনাল আন্দোলনকারী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, কোটা ইস্যুটি এখন আদালতের হাতে। আদালত ‘স্ট্যাটাস কো’ দেওয়ার পরে মোড়ে মোড়ে ব্লকেড করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনো সঠিক প্রক্রিয়া হতে পারে না। খেলা যদি মিরপুরের মাঠে হয় তবে সিলেট/চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামে গিয়ে লাভ আছে? কোটার বিষয়টি এখন আদালতে গেছে আর এরা (আন্দোলনকারীরা) শাহবাগ মোড়ে বসে আছে। ব্লকেড ব্লকেড খেলা এটি কি কোনো প্রক্রিয়া?
তিনি বলেন, কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন তৈরি হয়েছে সেই ইস্যুর যৌক্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ইতিবাচক সমাধানের দাবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে। ছাত্রলীগ কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সমাধান চায়। যেই সমাধানটি কল্যাণকর ও টেকসই সেই ব্যবস্থাই চায় ছাত্রলীগ। সরকার পক্ষের আইনজীবীরাই তো লড়ছে। সরকার নিজেই তো বলছে, কোটা ইস্যুতে সরকার আন্তরিক। তাহলে কারা আন্দোলনের নামে টালবাহানা তৈরি করতে চায়?
এর আগে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু প্রমুখ।
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আদালত ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রেখে সিদ্ধান্ত দিলেও একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় রয়েছে। আদালত শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করেই ৪ সপ্তাহ সময় নিয়েছেন। এরপরও এ আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
এ সময় তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে আন্দোলন ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে আর খেলবেন না। এই মুহূর্তে অবরোধ বা জনদুর্ভোগের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এই অচলাবস্থা ও অবরোধ যেন শিক্ষার্থীরা তুলে নেন এবং ক্লাসে যেন ফিরে যান সেই আহ্বান জানাই।
ঢাবি সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, একটি পক্ষ সাধারণ ছাত্রদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে সেসব শিক্ষার্থীদেরকে ছাত্রলীগের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আদালত তো রায় দিয়েছেন। আদালতের রায়ের পরে আর কোনো আন্দোলন থাকে না। যেটি থাকে সেটি হলো অপরাজনীতি।