Logo
Logo
×

জাতীয়

আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাখ্যান, ফের ‌‘বাংলা ব্লকেড’ ঘোষণা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৩ এএম

আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাখ্যান, ফের ‌‘বাংলা ব্লকেড’ ঘোষণা

আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে এক দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার  (১১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন এ কর্মসূচি শুরু হবে। বুধবার তৃতীয় দিনের মতো 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, সড়ক ও রেলপথগুলো এই কর্মসূচির আওতায় থাকবে। আমরা নির্বাহী বিভাগকে বলতে চাই অতি দ্রুত আমাদের দাবিটি মেনে নেন, যাতে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরতে পারি।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে যে পরিপত্র দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্ট সেটি বাতিল করেছে। আমরা এই আইনের প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের বারান্দায় যেতে চাই না। আমরা আমাদের রুটিন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা যে এক দফা দাবি জানিয়েছি সে ব্যাপারে সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আসতে হবে। একটি কমিশন গঠন করে এই কোটা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।

কোটাবিরোধীদের উদ্দেশে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, সব গ্রেডে আইন পাস করে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছি আমরা। ২০১৮ সালের পরিপত্রে কোনো কোটাই নেই। কোটা নিয়ে কয়েক বছর পরপর শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও হাইকোর্ট সেটি অবৈধ ঘোষণা করতে পেরেছে। ত্রুটিযুক্ত পরিপত্র খেলার একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। এর স্থায়ী সমাধান তখনই হবে যখন জাতীয় সংসদ থেকে আইন পাস করে বাস্তবায়ন করা হবে। নির্বাহী বিভাগ যদি চায় তবে আজকে আমাদের শেষ সংবাদ সম্মেলন হবে। 

তিনি বলেন, যদি নির্বাহী বিভাগ থেকে একটি আদেশ জারি করে বা একটি ত্রুটিহীন পরিপত্র জারি করা হয় তবে আমাদের রাজপথে আর দেখবেন না। ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটার কথা প্রস্তাব করেছি। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে ৷ কোনোভাবেই নাতিপুতি নামক পোষ্যকোটা ছাত্রসমাজ মানবে না। যাদের কাছে আমাদের দাবি তারা যদি দেখেও না দেখার ভান করে তবে আমরা বলব তারাই চাচ্ছেন আমরা যেন রাজপথে অবস্থান করি। 

এর আগে, সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, ফার্মগেট, চানখারপুল, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার মোড়, গুলিস্তান ও সায়েন্সল্যাবসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা।

বেলা ১১টার দিকে কোটা বৈষম্য নিরসনে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ছাড়াও চানখারপুল ও ঢাকা-আরিচা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিক্ষোভে নামেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, একই দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাখ্যান
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। তবে এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। সেই সঙ্গে স্থায়ী সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আদালতের প্রতি সম্মান আছে। তবে স্থায়ী ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন আপাতত চলবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম