ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে গণভোট দিতে হবে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম
ভারত তাদের ভৌগোলিক সীমানাকে কালচারাল ভারত হিসাবে বিবেচনা করে। তার পরিধি অনেক বড়। ভারতের মনোভাব এমন যে, ছোট রাষ্ট্র হিসাবে কারও বেঁচে থাকার অধিকার নেই। তারা চায়, তাদের অধীন হয়ে আমরা বেঁচে থাকি। সরকার তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ভারত কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। তাদের হস্তক্ষেপে দেশে নির্বাচন ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়ে গেছে। এমন মনোভাব পোষণ করা একটি দেশের আগ্রাসন থেকে আমরা কীভাবে রক্ষা পাব সেটা চিন্তার বিষয়।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আগ্রাসন বিরোধী নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ‘ভারতের সঙ্গে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী চুক্তি ও সমঝোতায় নাগরিক সমাজের উদ্বিগ্নতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
অধ্যাপক ড. মাহবুবুলাহ বলেন, ভারত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই মূলত চেয়েছিল পাকিস্তান ভাগ হয়ে বাংলাদেশের জš§ হোক। ভারত তাদের চিকেন নেককে অত্যন্ত স্পর্শকাতর হিসাবে দেখে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই করিডর সমঝোতা বিপজ্জনক, কেননা এ সমঝোতায় মাধ্যমে তৃতীয় রাষ্ট্র চীনের সঙ্গে বিরূপ সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের মাধ্যমে এই দেশবিরোধী চুক্তি বাতিলের জন্য গণভোটের আয়োজন করতে হবে। আশাকরি, দেশের মানুষ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণভোটে অংশ নেবেন।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, কোটা বিষয়টি একটা মীমাংসিত ইস্যু। সেটাকে সরকার আবার সামনে কেন নিয়ে এলো? এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে। আজিজ-বেনজীরদের দুর্নীতির খবর ঢাকতে এসব নাটক। এসব করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে চায়। একটা রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটা রাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশ সেই স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধে ভারত সহযোগিতা করেছে সেটা ঠিক, কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা জরুরি ছিল ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য।
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, একটা স্বাধীন দেশ এভাবে চলতে পারে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এমন চুক্তি মেনে নেওয়া যায় না। অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, দেশটা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের শক্ত প্রতিবাদ করতে হবে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ১৯৭২ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, তখনই মানুষ বলেছিল এটা গোলামির চুক্তি। ভারত বাংলাদেশকে কখনো মর্যাদা দেয় না।
আগ্রাসনবিরোধী নাগরিক সমাজের সদস্য মু. নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, আইনজীবী ও কলামিস্ট সাইমুম রেজা পিয়াস, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মুর্শেদ প্রমুখ।