Logo
Logo
×

জাতীয়

বাংলা ব্লকেডে স্থবির ঢাকা, জনদুর্ভোগ চরমে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম

বাংলা ব্লকেডে স্থবির ঢাকা, জনদুর্ভোগ চরমে

সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সারা দেশে চালিয়ে যাচ্ছেন এ কর্মসূচি। বুধবার সকাল ১০টা থেকে রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকাল থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ বেশ কিছু রেললাইন অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। বেলা যত বাড়ছে, আন্দোলন তত তীব্র হচ্ছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে প্রতিটি পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে। এতে জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।

কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।

খিলগাঁও থেকে কুড়িল বিশ্বরোড যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন। আবুল হোটেল পর্যন্ত তিনি রিকশায় আসেন। এরপর বাড্ডা লিঙ্করোড পর্যন্ত পুরো রাস্তা বন্ধ থাকায় হাতিরঝিল পর্যন্ত হেঁটে আসেন তিনি। পরে সেখান থেকে রাইড শেয়ারিংয়ে গন্তব্যে পৌঁছান।

শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

বসুন্ধরায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে ভিসার আবেদন করে লালবাগে ফিরছিলেন মো. ইউনুস। বাইক নিয়ে আটকা পড়েছেন কারওয়ান বাজার মোড়ে। তিনি বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের দাবির সমাধান করলেই হয়। মাঝখান দিয়ে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে কয়েক দিন ধরেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সুযোগ নিচ্ছেন রিকশাচালক, সিএনজিচালক, রাইড শেয়ারিং করা মোটরসাইকেল চালকরা।২০০ টাকার ভাড়া চাচ্ছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কেউ আবার সাড়ে ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকাও চাচ্ছেন।একে তো সব সড়ক বন্ধের কারণে দুর্ভোগ, তার ওপর আবার অস্বাভাবিক ভাড়ার চাপে বিপর্যস্ত রাজধানীর সাধারণ মানুষ।

এদিকে দুপুরের দিকে কারওয়ান বাজারে রেলপথও অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে এই মুহূর্তে ঢাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রেলপথের বাইরে থাকা স্লিপার তুলে রেললাইনের ওপর রাখা হয়েছে এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অনেকের মাথায়ও বাঁধা রয়েছে জাতীয় পতাকা।

এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর একমাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্রটি বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। 

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন জানান, আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন। ফলে যা ছিল, তা-ই থাকবে। অর্থাৎ, কোটা বাতিল নিয়ে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল থাকছে।

তবে কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।

আগস্টে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, ক্লাশে ফিরে যাও: ওবায়দুল কাদের

 
Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম