Logo
Logo
×

জাতীয়

সরকারের ইতিবাচক সাড়া না পেলে যে কর্মসূচির পরিকল্পনা শিক্ষকদের

Icon

মাহাদী হাসান 

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৪ এএম

সরকারের ইতিবাচক সাড়া না পেলে যে কর্মসূচির পরিকল্পনা শিক্ষকদের

সাম্প্রতিক ছবি

সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। নানা কর্মসূচি পালন করার পরও সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পাওয়ায় তারা এ ধরনের পরিকল্পনা করছেন। এর মধ্যে গণপদত্যাগের মতো কর্মসূচিরও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে মঙ্গলবার ৯ম দিনের মতো কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম। শিক্ষকদের আন্দোলনকে সরকার কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তারা। শিক্ষকরা বলেছেন, তাদের চলমান সর্বাত্মক আন্দোলন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে। অন্যদিকে শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে দীর্ঘদিন ক্লাস-পরীক্ষার বাইরে থাকায় সেশনজটে পড়ার শঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত এক সহকারী প্রক্টর যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধৈর্য ধরে আন্দোলন করেছেন। এখন বর্তমান কর্মসূচি পরিবর্তন করে গণপদত্যাগের মতো কর্মসূচি আসতে পারে। কারণ শিক্ষকদের এছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. ফজলুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমাদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা করা হয়নি। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শিক্ষকরা অটল রয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, কর্মসূচি নিয়ে শিগগির আমাদের সভা আছে, সেখানে আমরা নতুন কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। হয়তো বা আমাদের কর্মসূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে। শিক্ষর্থীদের সেশনজটে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ৯ দিন ধরে আন্দোলন করছি। আরও ২ দিন যদি আন্দোলন চলে তাহলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। এখন সশরীরে ক্লাস নেওয়ার পাশপাশি অনলাইনেও ক্লাস নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি যদি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আন্দোলন দীর্ঘ সময় ধরে চলার আশঙ্কা রয়েছে, আর সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়ার শঙ্কা তো থেকেই যায়। আমরা দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যেতে চাই। আর এজন্য অবশ্যই সরকারকে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, যারা বলছেন আমরা শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রেখেছি, তারা তো আসলে জিম্মি শব্দের মানেই বুঝেন না। জিম্মি কাকে বলে সেটা বোঝার জন্য গাজার দিকে তাকান। তবেই বুঝতে পারবেন। সুতরাং যারা আমাদের নামে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। দয়া করে আপনারা আর এ শব্দটা ব্যবহার করবেন না। সরকারি আমলাদের উদ্দেশ করে ড. ভূঁইয়া বলেন, আজকে আমাদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, আমরা ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষক আত্মমর্যাদার লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ আন্দোলন করছি। আমলাদের কাজই হচ্ছে যারা নীতিনির্ধারকের দায়িত্ব আছেন তাদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

আব্দুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অনেকের ঈদুল আজহার পরে কোনো ক্লাসই হয়নি। আর যাদের হয়েছে তা যৎসামান্য। দীর্ঘ সময় ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সেশনজটে পড়ার শঙ্কায় আছি। আমরা দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যেতে চাই।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম