গ্রেফতার পিএসসির দুই কর্মকর্তার কোচিং ব্যবসা রয়েছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির। ছবি: সংগৃহীত
বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) দুজন উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
পিএসসির দুই উপপরিচালক হলেন মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম। সহকারী পরিচালক হলেন মো. আলমগীর কবির।
এই তিনজনের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদনের জন্য তিন বছর পদোন্নতি আটকে ছিল। তাদের মধ্যে দুজনের কোচিং ব্যবসা আছে। বেশি বেশি তদবির করার অভিযোগে তিনজনের একজনকে ঢাকা থেকে শাস্তিস্বরূপ বদলিও করা হয়।
অর্থকষ্টে কাটত দিন, সেই আবেদ এলাকায় ‘দানবীর’
এ ছাড়া কর্মচারী মো. খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপরাধে ফৌজদারি ও বিভাগীয় মামলা হলেও অভিযোগ থেকে নাম কাটিয়ে আদালতের আদেশ নিয়ে আবার ফিরেছেন পিএসসিতে।
আর সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী তো নিয়োগের সময় ঠিকানা জালিয়াতি করেছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে চাকরিও হারিয়েছেন তিনি।
দুজনের কোচিং ব্যবসা
উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির দুজনই চাকরির প্রস্তুতির কোচিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টি পিএসসির অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীই জানেন। ঢাকার মালিবাগের জ্যোতি কমার্শিয়াল চাকরির কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবু জাফর। কোচিং সেন্টারটি তার স্ত্রী জ্যোতির নামে।
পিএসসির প্রশাসন শাখা থেকে জানা গেছে, কয়েক বছর পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন আবু জাফর। তিনি কোচিং সেন্টারে যুক্ত আর নানা নেতিবাচক আলোচনায় ছিলেন বলে তিন বছর তার পদোন্নতি আটকে ছিল। গোয়েন্দা প্রতিবেদন নেতিবাচক আসার কারণে পদোন্নতি আটকে ছিল বলে জানায় পিএসসির প্রশাসন শাখা।
এ ছাড়া মো. আলমগীর কবিরের কোচিং সেন্টার আছে ঢাকার মিরপুরে।
পিএসসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আলমগীর কবির আগে আজিমপুরে থাকতেন। কোচিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মিরপুরে বাসা নেন। পিএসসিতে থাকার পরও এমন কোচিং সেন্টারে তারা থাকলেও এ জন্য সরাসরি তাদের কোনো জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, এই দুজনের চাকরির প্রস্তুতির কোচিং ব্যবসা আছে, তা এবারে অভিযোগ আসার পর জানতে পেরেছি। আগে জানতে পারলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেত।
পিএসসির ঢাকা অফিসে কর্মরত ছিলেন সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বিভিন্ন নিয়োগের বিষয়ে পিএসসি সদস্যদের কাছে নিয়মিত তদবির করতেন বলে অভিযোগ আছে। কোনো কোনো সদস্য তার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। এরই একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে এই অভিযোগে মৌখিকভাবে সতর্কও করা হয়। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় এ বছরের শুরুতে তাকে সিলেট আঞ্চলিক অফিসে বদলি করা হয়।