ফাইল ছবি
রাজনৈতিক কোন্দলেই ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসির দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডরিন। ‘ঝিনাইদহ-৪ আসনের জনগণের পক্ষে জনপ্রতিনিধিবৃন্দ’ ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
যুগান্তরের এক প্রশ্নের জবাবে ডরিন বলেন, ডিএনএ টেস্ট দেওয়ার জন্য কলকাতা সিআইডির পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, কলকাতায় যাব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হত্যার পেছনে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দল তো অবশ্যই আছে। ইতোমধ্যে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের দুজন নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। যথেষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতেই হয়েছেন। শিমুল ভঁ‚ইয়া তার জবানবন্দিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক গ্যাস বাবুর কথা বলেছেন। আবার গ্যাস বাবুও তার জবানবন্দিতে মিন্টুর কথা বলেছেন। অবশ্যই তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে আদালতে বলেছেন।
ডরিন বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দল না থাকলে কেন তারা এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবে। তারা তো সবকিছুই জানত। তারা আমাকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিল।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা জড়িত। ইতোমধ্যে কিছু নেতা গ্রেফতার হলেও এখনো হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা এবং অর্থ জোগানদাতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।