ফাইল ছবি
লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন (২৫)।
সোমবার ঢাকা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১০ জুন রাতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় হওয়া ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুনকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লার পুলিশ। পরদিন ১১ জুন তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। পরে সোমবার জামিন শুনানি শেষে মামুনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, তিন বছর আগে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় লায়লার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। ওই সময় থেকেই প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারার ডিওএইচএসের বাসায় থাকা শুরু করেন।
এরপর প্রিন্স মামুন বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায় সময়ই মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় প্রবেশ করতেন। বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন তিনি। এমনকি মাঝে মধ্যেই তাকে মারধর করতেন প্রিন্স মামুন।
গত ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরেন তারা। তখন মামুনসহ আরও দুজন মদপানের জন্য মিরপুর যাওয়ার পরামর্শ করেন। তাদের মদপানে লায়লা নিষেধ করলে উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে প্রিন্স মামুন। আর গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে লায়লাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা করে প্রিন্স মামুন।
সম্প্রতি টিকটকার প্রিন্স মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। গত ৩ জুন পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেন। আর তখন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।